বাসে আগুন লেগে জিম্বাবুয়েতে অন্তত ৪২ জন নিহত ও ২৭ জন আহত হয়েছেন। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে দেশটিতে বড় ধরনের এই বাস দুর্ঘটনা ঘটল। ৭ নভেম্বর দুই বাসের সংঘর্ষে দেশটিতে ৪৭ জনের প্রাণ যায়।
দ্য ইনডিপেনডেন্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে জিম্বাবুয়ের গোয়ান্ডা জেলায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। বাসের যাত্রীরা দক্ষিণ আফ্রিকার মুসিয়ানা শহরে কেনাকাটা ও রাত যাপনের জন্য যাচ্ছিলেন।
আজ শুক্রবার দেশটির পুলিশ এই দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে। তবে তারা তাৎক্ষণিক আগুন ধরার প্রকৃত কারণ জানাতে পারেনি। দেশটির কেন্দ্রীয় পুলিশের মুখপাত্র চেরিটি চারাম্বের ধারণা, বাসে উচ্চ তেজস্ক্রিয় কোনো পদার্থ ছিল। এতে আগুন মুহূর্তের মধ্যে পুরো বাসে ছড়িয়ে পড়ে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, জিম্বাবুয়েতে গ্যাসের দাম অত্যন্ত চড়া। সেখানে এক কেজি তরল গ্যাসের জন্য গড়ে ১০ ডলার গুনতে হয়। অথচ দক্ষিণ আফ্রিকায় একই গ্যাসের দাম মাত্র দুই ডলারের মতো। ফলে অনেক জিম্বাবুইয়ানই দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে গ্যাস সিলিন্ডার রিফিল করে আনেন।
কুলেকেনি অ্যানডলোবু নামের ওই বাসের এক যাত্রী বলেন, কিছু বুঝে ওঠার আগেই আগুনের কুণ্ডলী তাঁদের গ্রাস করে ফেলে। তিনিসহ কয়েকজন কোনোমতে বাইরে বের হয়ে আসেন। কিন্তু অন্যদের সাহায্য করার মতো উপায় ছিল না।
অন্য এক যাত্রী বলেন, প্রথমে তাঁরা গ্যাসের কেমন যেন গন্ধ পেয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে একজন চালককে বিষয়টি জানিয়েছিলেন। কিন্তু অল্প সময়ের ব্যবধানেই যা ঘটার তা ঘটে গেছে।
বৃহস্পতিবার রাত ১১ দিকে ওই দুর্ঘটনা ঘটে। ভয়েস অব আমেরিকার প্রতিবেদনে বলা হয়, দুর্ঘটনাস্থল রাজধানী হারারে থেকে ৫৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। পুলিশ বলছে, আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন গুরুতর দগ্ধ।