প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা জানিয়েছেন, সংসদ নির্বাচন পরিচালনায় প্রায় সাত লাখ কর্মকর্তা নিয়োজিত থাকবেন। প্রত্যেক নির্বাচনী এলাকায় নির্বাহী ও বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেয়া হবে। সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় ছয় লক্ষাধিক সদস্য মোতায়েন করা হবে। এর মধ্যে পুলিশ, বিজিবি, র্যাব, কোস্টগার্ড, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা থাকবেন। এ নিয়ে প্রাথমিক প্রক্রিয়াও সম্পন্ন হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সিইসি জাতির উদ্দেশে ভাষণে নির্বাচনের দিন ঘোষণার সময় এই তথ্য জানান তিনি। সিইসির এই ভাষণ বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেতারের মাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।
তিনি বলেন, নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর বিশেষ দৃষ্টি রাখবে কমিশন। দায়িত্ব অবহেলা বা ব্যর্থতার কারণে নির্বাচন ক্ষতিগ্রস্ত হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। বেসামরিক প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় সহায়তা করতে সশস্ত্র বাহিনীও মোতায়েন করা হবে।
এর আগে, বেলা ১১টায় বৈঠক করে এই নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক করে ইসি। দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত সিইসি কক্ষে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। দুপুরে কমিশন সভা শেষে নির্বাচন কমিশনার শাহাদাত হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘সবকিছু ঠিকঠাক, এখন শুধু অপেক্ষা।’
বৈঠক শেষে সিইসির কক্ষে জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণটি রেকর্ড করা হয়। এজন্য সকাল থেকে বিটিভি ও বেতারের রেকর্ডিং টিম ইসিতে উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, সংবিধান অনুযায়ী আগামী ২৮ জানুয়ারির মধ্যে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। গত ৩১ অক্টোবর থেকে নির্বাচনকালীন সময়ের ক্ষণ-গণনা শুরু হয়।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।