১৮০ মিলিয়ন ইউরোতে কিলিয়ান এমবাপ্পেকে দলে টেনেছে পিএসজি। কাগজে কলমে দলবদলটা ২০১৮ সালে দেখালেও, গত মৌসুম থেকেই পিএসজির জার্সি গায়ে চাপাচ্ছেন এমবাপ্পে। ফরাসি তারকাকে দলে টানার চেষ্টা করেছিল রিয়াল মাদ্রিদও। তখন জানা গিয়েছিল, রিয়ালও ১৮০ মিলিয়ন ইউরো দিয়েই তাঁকে দলে টানতে চেয়েছিল। কিন্তু ফুটবল লিকস জানাচ্ছে, রিয়াল আসলে এমবাপ্পের জন্য আরও উদারহস্ত হতে চেয়েছিল, খরচ করতে চেয়েছিল ২১৪ মিলিয়ন ইউরো!
বাংলাদেশের মূল্যমানে অঙ্কটা ২ হাজার ৬২ কোটি ৮৮ লাখ টাকা! ২০১৫ সাল থেকেই এমবাপ্পের দিকে নজর রিয়াল। জিনেদিন জিদানের পছন্দ বলে তাঁকে আনার সর্বোচ্চ চেষ্টাই চালিয়েছিল রিয়াল। তারা মোনাকোর দাবি করা ১৮০ মিলিয়ন ইউরোই শুধু দিতে চায়নি, দলবদলের লেনদেনে যে ৩৪ মিলিয়ন ইউরো কর দিতে হতো মোনাকোকে সেটিও দিয়ে দিতে চেয়েছিল রিয়াল। কিন্তু যেখানে বেড়ে উঠেছেন, সেই প্রিয় প্যারিসে ফেরার সুযোগ পেয়ে এমবাপ্পে পিএসজিতেই যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। ঘরোয়া প্রতিদ্বন্দ্বীর শক্তি বৃদ্ধি করার ইচ্ছা না থাকলেও এমবাপ্পের জেদের কাছে হার মানে মোনাকো। আর এমবাপ্পেকে নেওয়ার ইঁদুর দৌড়ে জিতে যায় পিএসজি। এ বছর বিশ্বের সবচেয়ে দামি ফুটবলার হিসেবে এমবাপ্পে নেইমারকেও হারিয়ে দিয়ে এ দলবদলকে যুক্তিযোগ্য করে তুলেছেন।
পিএসজির কাছ থেকে এমবাপ্পে অবশ্য বাড়তি কিছু সুবিধাও নিয়েছেন এ দলবদলের জন্য। কর দেওয়ার পরও ১০ মিলিয়ন বেতন পাচ্ছেন পিএসজির কাছ থেকে। রিয়ালে সেটি ৭ মিলিয়ন টপকাতো না। এমবাপ্পে দাবি করেছিলেন, যদি ব্যালন ডি’অর জিততে পারেন তবে পিএসজিতে নেইমারের সমান বেতন দিতে হবে অর্থাৎ বছরে ৩০ মিলিয়ন ইউরো। কিন্তু তাঁর সে প্রস্তাব উড়িয়ে দিয়েছে পিএসজি। তবে এককালীন ৫ লাখ ইউরো দেবে পিএসজি। এ ছাড়া বছরে ব্যক্তিগত বিমানে ৫০ ঘণ্টা উড়ার সুবিধা চেয়েছিলেন এমবাপ্পে। এ দাবিও মানেনি পিএসজি। তবে একজন বাটলার, একজন চালক ও নিরাপত্তারক্ষীর বেতন দিতে রাজি হয়েছে পিএসজি।