অনলাইন ডেস্ক: নিজ হেফাজতে ইয়াবা রাখার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় পুলিশ কনস্টেবল মেহেদী হাসান ও তার সহযোগী আবু সাঈদ সরদারকে পৃথক মেয়াদে কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। অভিযুক্তদের মধ্যে মেহেদী হাসানকে ৩ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও আবু সাঈদ সরদারকে ১ বছরের সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৩ মাস করে কারাদন্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে।
বুধবার অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক শিহাবুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।
দন্ডপ্রাপ্ত মেহেদী হাসান বিমানবন্দর থানা এলাকার মুশরিয়ার মৃত আইয়ুব আলী আকনের ছেলে ও মেট্রোপলিটন পুলিশে কর্মরত ছিলেন। বিএমপি পুলিশ কনস্টেবল নম্বর-৮৪০। তার সহযোগী বানারীপাড়া চাখার এলাকার আলী হোসেন সরদারের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় কনস্টেবল মেহেদী আদালতে অনুপস্থিত থাকলেও আবু সাঈদ উপস্থিত ছিলেন।
আদালতের বেঞ্চ সহকারি শাহাদাত হোসেন এজাহারের বরাত দিয়ে জানান, ২০১৭ সালের ৭ জুলাই গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বানারীপাড়া থানার এসআই হেমায়েত উদ্দিন খান তার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে চাখার শাখারিয়া সড়কের পাশে আলী হোসেন মোল্লার মুদি দোকানের দক্ষিণ পাশে অভিযান চালায়।
এসময় মেহেদী হাসান ও আবু সাঈদ সরদার পালানোর চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের আটক করে। পরে মেহেদী হাসানের কাছ থেকে ২৯ পিস ও আবু সাঈদের কাছ থেকে ১০ পিসসহ মোট ৩৯ পিস ইয়াবা উদ্ধার করে মামলা দায়ের করেন। একই বছর ২৬ আগস্ট তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই গাজী মো. নজরুল ইসলাম পেশাদার মাদকসেবী ও ব্যবসায়ী উল্লেখ করে মেহেদী হাসান ও আবু সাঈদ সরদারকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশীট জমা দেন। আদালত ৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বুধবার ওই কারাদন্ডের রায় ঘোষণা করেন।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ সূত্র জানিয়েছে- ইয়াবাসহ আটকের ক’দিনের মথায় কনস্টেবল মেহেদী হাসান খানকে বরখাস্ত করা হয়।’