অনলাইন ডেস্ক: পটুয়াখালীর বাউফলে মামুন গাজী (৩৫) নামে এক যুবককে হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে নিহতের পরিবার।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাউফল উপজেলার কনকদিয়া ইউনিয়নের বীরপাশা গ্রামের বাসিন্দা খলিল গাজীর নাতি রিয়া মনিকে (১৩) প্রায়ই উত্ত্যক্ত করতো স্থানীয় কয়েকজন যুবক। এ ঘটনার জের ধরে গত ২৩ অক্টোবর রাতে স্থানীয় ব্যবসায়ী সেলিম মুন্সীর সঙ্গে খলিল গাজীর ছেলে হাসান গাজী ও তার ভাইয়ের ছেলে মামুন গাজীর তর্কবিতর্ক হয়। তর্কবিতর্কের একপর্যায়ে সেলিম মুন্সীকে মারধর করেন তারা। সেলিম মুন্সী বতর্মানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ ঘটনায় গত ২৪ অক্টোবর মামুন গাজীকে আসামি করে বাউফল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন সেলিম খান। ২৭ অক্টোবর শনিবার সকাল ১০টার দিকে মামুন গাজী ও তার চাচাতো ভাই হাসান গাজী জয়গোড়া থেকে পটুয়াখালী যাওয়ার পথে বীরপাশা সার্বজনীন মন্দিরের কাছে তাদের ওপর হামলা চালায় সেলিম মুন্সীর দুই ছেলে মিরাজ জহিরসহ আরও কয়েকজন যুবক।
এ সময় তারা মামুনকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে ও কুপিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরে তাকে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক আমিনুল ইসলাম মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় ৩০ অক্টোবর নিহত মামুনের বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা জিএম নজরুল ইসলাম (শাহ্জাহান গাজী) বাদী হয়ে ১৭ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ৮/১০ অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে বাউফল থানায় মামলা দায়ের করেন।
নিহত মামুন গাজীর বাবা জি এম নজরুল ইসলাম বলেন, আমার ছেলে মারা গেছে, তাকে তো আর পাবো না। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে ছেলে হত্যার বিচার চাই।
নিহতের ছোট ভাই মো. মেহেদী মাহফুজ বলেন, আমার বাবা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। এই দেশের জন্য আমার বাবার অবদান রয়েছে। মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের সদস্য হয়েও আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তার দাবি জানাচ্ছি।
বাউফল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।