যেমন ধারণা করা হয়েছিল, প্রথম দিনেই তার পূর্বাভাস—বিদেশিদের দাপট । বিদেশি কোটা বাড়িয়ে চারজনে উত্তীর্ণ করাই ধরেই নেওয়া হয়েছে নতুন মৌসুমটা হবে বিদেশি স্ট্রাইকারদের। ফেডারেশন কাপ দিয়ে মৌসুম শুরুর প্রথম দিনেই কথাটার প্রমাণ করে দিলেন চট্টগ্রাম আবাহনীর তিন বিদেশি মোমোদুহ বাহ ,উগোচুকু আওয়ালা মাগালান ও মুফতাল আউয়াল। এই তিনজনের গোলেই রহমতগঞ্জকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে চট্টগ্রাম আবাহনী। রহমতগঞ্জের হয়ে একটি গোল পরিশোধ করেছেন রকিবুল ইসলাম।
প্রথম দিনের চার গোলের তিনটিই বিদেশিদের। আর হবেই বা না কেন ! দু দলই ফরোয়ার্ড লাইনে দুজন বিদেশি নিয়ে ম্যাচটি শেষ করল খেলল ৪-৩-৩ ফরমেশনে। স্থানীয়দের জায়গা কোথায় মৌসুমের প্রথম ম্যাচ। ফলে উভয় দলের খেলোয়াড়দের মধ্যেই ছিল জড়তা। চার গোলের ম্যাচ হলেও প্রশংসা করার মতো কোনো মুভ নেই। বল পজিশন ধরে রেখে অনেকটা সাধারণ ফুটবল খেলেই জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে জুলফিকার মাহমুদ মিন্টুর দল।
৩৪ মিনিটে গোলের শুরুটা করেছিলেন শেখ জামাল থেকে চট্টগ্রামের ক্লাবে নাম লেখানো মোমোদুহ। প্রথমার্ধে এই একটা গোলই নোটবুকে তোলার মতো। সাদা-মাটা ম্যাচটার রং কিছুটা বদলাল দ্বিতীয়ার্ধে তিন গোল হওয়ায়। ৫৭ মিনিটে ফয়সালের রক্ষণচেরা এরিয়াল থ্রু থেকে ডান প্রান্ত দিয়ে উঠে এসে দূরের পোস্টে প্লেসিং করে রহমতগঞ্জকে সমতায় ফিরিয়েছেন রাকিবুল ইসলাম। অবশ্য রাকিবের এই গোলের পেছনে চট্টগ্রামের লেফট ব্যাক আনিসুর রহমান ও গোলরক্ষক মো. নেহালের ভুল বোঝাবুঝির অবদানও কম নয়।
৭২ মিনিটে আবারও এগিয়ে যায় আবাহনী। কিরগিজস্তানের ড্যানিয়েল ট্যাগোর এরিয়াল থ্রু রহমতগঞ্জের সেন্টারব্যাক ক্লিয়ার করলে বক্সের মধ্যে গিয়ে পড়ে। ফলো আপে থাকা মাগালান দেখে শুনে ভলিতে বলটা জালে জড়িয়ে ২-১ করেছেন। ট্যাগো সাধারণত সেন্টারব্যাক হলেও ৩২ বছর বয়সী এই কিরগিজকে হোল্ডিং মিডফিল্ডার হিসেবে খেলিয়েছেন চট্টগ্রাম কোচ মিন্টু। গোল করানো ছাড়াও মাঝমাঠে বল দখলে রেখে প্রতিপক্ষকে ছড়ি ঘোরাতে না দিয়ে কোচের আস্থার প্রতিদানটা ভালোই দিয়েছেন ট্যাগো। এমনি এমনি তো আর কিরগিজস্তান জাতীয় দলের অপরিহার্য খেলোয়াড় নন!
৭৬ মিনিটে ৩-১ করেছেন আবাহনীর ডিফেন্ডার মুফতাল আউয়াল। নাজমুল ইসলামের কর্নার থেকে হেডে গোলটি করেন নাইজেরিয়ান এই ডিফেন্ডার। আবাহনীর চার বিদেশির তিনজনেরই প্রথম ম্যাচে গোল। এতেই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ল ফেডারেশন কাপের বর্তমান রানার্সআপরা।