ঝালকাঠির রাজাপুরের ছোট কৈবর্তখালি গ্রামে সুপারি পাড়তে গিয়ে সুপারি গাছ ভেঙে অরক্ষিত পল্লী বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে রাকিবুল ইসলাম রাকিব (১২) নামে এক শিশু শিক্ষার্থীর দুই পা পুড়ে ঝলসে গেছে।
বুধবার দুপুরে রাজাপুর স্বাস্থ্য কেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে দরিদ্র ভিক্ষুক পরিবারের ছেলে রাকিব অর্থাভাবে যথাযথ সু-চিকিৎসার না পেয়ে ৬ দিন ধরে স্বাস্থ্য কেন্দ্রের বেডে যন্ত্রনায় কাতরাচ্ছেন। রাকিব ছোট কৈবর্তখালি গ্রামের ভিক্ষুক অন্ধ আবু বকর সিদ্দিক ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী রাহেলা বেগমের ৪ সন্তানের মধ্যে একমাত্র বড় ছেলে সে।
রাকিব পটুয়াখালির কলাপাড়ার বালিয়াতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেণির মেধাবী ছাত্র। সে পড়ালেখায় ভাল তার রোল ৭। রাকিবের ফুফু পিয়ারা বেগম ও শিশু রাকিব জানান, রাকিবের পরিবার দীর্ঘদিন ধরে কলাপাড়ায় থেকে ভিক্ষা করে সংসার চালাচ্ছে। কয়েক দিন পূর্বে পিয়ারা বেগমের স্বামীর নামে মিলাদে অংশ নিতে স্বপরিবারে রাকিবরা রাজাপুরের ছোট কৈবর্তখালি গ্রামের বাড়িতে আসেন। গত ১৯ অক্টোবর বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে বাড়ির বাগানের সুপারি গাছে সুপারি পাড়ার জন্য উঠলে গাছটির মাথা ভেঙে নিচের অরক্ষিত (কভার ছাড়া) পল্লী বিদ্যুতের সার্ভিস তাঁরে পড়লে রাকিব তাঁড়ে জড়িয়ে বিদ্যুতায়িত হয়ে পুড়ে তার দুই পা আগুনে ঝলসে যায়।
স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে রাজাপুর স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করলে স্থানীয়দের সহযোগীতায় সেখানে কোনমতে তার চিকিৎসা চলছে। রাকিবের ফুফু পিয়ারা বেগম আরও জানান, রাকিবের বাবা আবু বকর সিদ্দিকের দুচোখ অন্ধ এবং মা রাহেলা বেগম বুদ্ধি প্রতিবন্ধী হওয়ায় ভিক্ষা করে কোনমতে তাদের সংসার চলে। বর্তমানে রাকিবের পোড়া ক্ষত দ্রুত সেড়ে ওঠার জন্য বিভিন্ন ঔষধের প্রয়োজন কিন্তু অর্থাভাবে সব ঔষধ কেনা সম্ভব হচ্ছে না। বর্তমানে কোনমতে চলছে তার চিকিৎসা।
তাই তারা সকলের সহযোগীতা কামনা করেছেন (০১৭৫৫৭১৭৬৯৩, ০১৭০৩৭৮৭০০০)। রাজাপুর স্বাস্থ্য কেন্দ্রের টিএইচও ডা. মাহাবুবুর রহমান জানান, রাকিবের দুই পাই বিদ্যুতে ঝলসে গেছে। তবে তার বাঁ পা ২০ শতাংশেরও বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। রাকিবের পরিবার অত্যন্ত দরিদ্র হওয়ায় সমাজসেবা সাহায্যের আবেদনের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। তার চিকিৎসা চলছে পুরোপুরি সুস্থ্য হতে প্রায় ১ মাস সময় লেগে যাবে।