চাকরিরত অবস্থায় কোনো সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর মৃত্যু হলে তার পরিবারকে সরকারের কাছ থেকে নেয়া গৃহ নির্মাণ, গৃহ মেরামত ও গাড়ি কেনার ঋণের অর্থ পরিশোধ করতে হবে না। পাশাপাশি কেউ অক্ষম (মানসিক প্রতিবন্ধী বা পঙ্গু) অবস্থায় অবসরে গেলে তাকেও ঋণ ও সুদের টাকা পরিশোধ করতে হবে না। পরিবারের কাছ থেকেও এ টাকা আদায় করা হবে না। এক্ষেত্রে অবসর উত্তর ছুটিকালও (পিআরএল) চাকরিকাল হিসেবে গণ্য হবে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের উপ-সিচব মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম গত ২৪ সেপ্টেম্বর স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি পরিপত্র জারি করেছে অর্থ বিভাগ। পরিপত্রে বলা হয়, নতুন নীতিমালার আওতায় গৃহ নির্মাণ, গৃহ মেরামত, কম্পিউটার, মোটরকার, মোটরসাইকেল ও প্রাধিকারপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তাদের সুদমুক্ত বিশেষ অগ্রিম ও গাড়ি সেবা নগদায়ন নীতিমালা-এর আওতায় গৃহীত ঋণের অপরিশোধিত আসল ও সুদ বা দণ্ডসুদ মওকুফের বিষয় বিবেচিত হবে।
পরিপত্রে আসল ও সুদ মওকুফের বিষয়ে সুপারিশ প্রদানের লক্ষ্যে অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিককে (প্রশাসন ও ব্যয় ব্যবস্থাপনা) সভাপতি করে ৮ সদস্যের একটি কমিটি গঠনও করা হয়। এ কমিটি সাধারণভাবে প্রতিমাসে একটি করে সভা করবে।
ঋণ মওকুফের জন্য ঋণ মওকুফের প্রস্তাব পেশকরণ সংক্রান্ত অর্থ বিভাগের নির্ধারিত ফরম যথাযথভাবে পূরণপূর্বক অধিদফতর বা পরিদফতরের ক্ষেত্রে বিভাগীয় প্রধান এবং মন্ত্রণালয় বা বিভাগের ক্ষেত্রে সিনিয়র সচিব বা সচিবের সুস্পষ্ট সুপারিশসহ প্রেরণ করতে হবে।
তারপর আসল ও সুদ মওকুফের বিষয়ে সুপারিশ প্রদানের লক্ষ্যে গঠিত কমিটি আসল ও সুদ মওকুফের ক্ষেত্রে নিম্নরূপ বিষয়াদি বিবেচনাপূর্বক সুপারিশ প্রদান করবে। এগুলো হচ্ছে- ঋণ গ্রহীতা সরকারি কর্মকর্তা/কর্মচারি চাকরিরত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করলে অথবা অক্ষমতাজনিত অবসর গ্রহণ করলে গৃহীত ঋণের অপরিশোধিত আসল ও সুদ মওকুফের বিষয় বিবেচনাযোগ্য হবে। এক্ষেত্রে অবসর উত্তর ছুটিকালও (পি আর এল) চাকরিকাল হিসেবে গণ্য হবে।
ঋণ গ্রহণকারী কর্মকর্তা বা কর্মচারী প্রাপ্য গ্র্যাচুইটি মৃত্যুর পূর্বে নিষ্পত্তি হয়ে থাকলে তাদের ক্ষেত্রে মওকুফের প্রস্তাব বিবেচনাযোগ্য হবে না। চাকরিরত অবস্থায় কোনো সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী দায়ে দেনাগ্রস্ত নিঃস্ব পরিবার পরিজন রেখে মৃত্যুবরণ করলে অথবা অক্ষমতাজনিত কারণে অবসর গ্রহণ করলে তাদের ক্ষেত্রে প্রাপ্য সরকারি সুবিধাদি বিবেচনাক্রমে আসল ও সুদ মওকুফযোগ্য হবে। তবে এক্ষেত্রে প্রাপ্য গ্র্যাচুইটি মোট ১২ লাখ টাকা বা তদূর্ধ্ব হলে আসল মওকুফ বিবেচনায় আনা হবে না।