রাশিয়ার এ যাবৎকালের সর্ববৃহৎ সামরিক মহড়া মঙ্গলবার শুরু হয়েছে। লাখো রুশ সেনা মহড়ায় অংশ নিচ্ছেন। ‘ভোস্তক-২০১৮ (প্রাচ্য-২০১৮)’ নামের এই যুদ্ধ মহড়া চলবে এক সপ্তাহ ধরে। এতে চীনের সাড়ে তিন হাজার সৈন্যসহ তিন লাখ সৈন্য অংশ নিচ্ছেন।
সাইবেরিয়ার পূর্বাঞ্চলে শুরু হতে যাওয়া মহড়াটিতে চীন ও মঙ্গোলিয়ার সেনাদেরও অংশগ্রহণ রয়েছে। উত্তর আটলান্টিক অঞ্চলীয় সামরিক জোট ন্যাটো এ মহড়ার নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এটি বৃহৎ পরিসরের দ্বন্দ্বেরও এক মহড়া। ন্যাটো একে বড় ধরনের সংঘর্ষের মহড়া হিসেবেও বর্ণনা করেছে।
এএফপির খবরে বলা হয়েছে, রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু বলেছেন, এবারের সামরিক মহড়া হবে আরও বড় পরিসরের। এতে ৩ লাখ সেনাসদস্য, ৩৬ হাজার সামরিক যান, ১ হাজার যুদ্ধবিমান ও ৮০টি যুদ্ধজাহাজ অংশ নেবে।
পশ্চিমা দেশগুলোর বিষয়ে এবং ইউক্রেন ও সিরিয়ার চলমান দ্বন্দ্ব-সংঘাত নিয়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে করা অভিযোগ ঘিরে পশ্চিমাদের সঙ্গে মস্কোর উত্তেজনা বেড়ে চলার প্রেক্ষাপটে এই সামরিক মহড়া শুরু হতে যাচ্ছে।
এর আগে ১৯৮১ সালে ‘জাপাড-৮১’ (পাশ্চাত্য-৮১) নামের এক সামরিক মহড়ায় রাশিয়ার ১ থেকে দেড় লাখ সেনাসদস্য অংশ নিয়েছিলেন। সাবেক সোভিয়েত শাসনামলে এটাই ছিল বৃহত্তম যুদ্ধ মহড়া।
মহড়ায় রুশ সেনাবাহিনী তার সর্বাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম যেমন ইসকান্দার ক্ষেপণাস্ত্র প্রদর্শন করবে। ক্ষেপণাস্ত্রটি পারমাণবিক যুদ্ধাস্ত্র বহনে সক্ষম। মহড়ায় অংশ নেবে টি-৮০ ও টি-৯০ মডেলের সর্বাধুনিক ট্যাংক এবং অত্যাধুনিক সু-৩৪ ও সু-৩৫ রুশ যুদ্ধবিমান। মহড়ায় সমুদ্রে কালিবর ক্ষেপণাস্ত্র-সংবলিত একাধিক ফ্রিগেট মোতায়েন করা হবে। এই ক্ষেপণাস্ত্র সিরিয়া যুদ্ধে ব্যবহার করেছে রাশিয়া।
রাশিয়ার দূরপ্রাচ্যের শহর ভ্লাদিভোস্তকে এক অর্থনৈতিক ফোরামে অংশগ্রহণের পর রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ওই মহড়ায় যোগ দেবেন। অর্থনৈতিক ফোরামে আমন্ত্রিত বিশিষ্ট অতিথিদের মধ্যে অন্যতম চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং।