এশিয়া কাপে খালেদ মাহমুদ সুজনই যাচ্ছেন ম্যানেজার হিসেবে। তাই হয়েছে। এশিয়া কাপে টাইগারদের ম্যানেজার হয়ে আরব আমিরাত যাচ্ছেন সুজন। মাঝে ওয়েষ্ট ইন্ডিজ সফরে তিনি ছিলেন না। ব্যক্তিগত কারণেই সড়ে দাঁড়িয়েছিলেন। এবার আবার ম্যানেজার হয়েছেন জাতীয় দলের এ সাবেক অধিনায়ক।
চন্ডিকা হাথুরুসিংহে চলে যাওয়ার পর প্রথমে তার ওপর দল পরিচালনার দায়িত্ব বর্তেছিল। আনুষ্ঠানিক পদবিটা যদিও ‘কোচ’ ছিলনা। তারপরও তিনিই ছিলেন নৈপথ্য কারিগর। প্রথম দুই ম্যাচে জিম্বাবুয়ে আর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দারুণ খেলে জিতলেও শেষ পর্যন্ত খালেদ মাহমুদ সুজনের কোচিংয়ে শেষ হাসি হাসতে পারেনি বাংলাদেশ। তিন জাতি আসরেই শুধু নয়, তার পরের টেস্ট সিরিজেও ভরাডুবি ঘটেছিল।
আর এর পরই নিদাহাস ট্রফিতে তার বদলে কোর্টনি ওয়ালশকে ভারপ্রাপ্ত কোচের দায়িত্ব দেয়া হয়। শ্রীলঙ্কার মাটিতে হওয়া তিন জাতি টি-টোয়েন্টি আসর নিদাহাস ট্রফিতে ভারতের সাথে শেষ বলে হারের পর ওয়ালশের কোচিংয়ে ভারতের দেরাদুনে আফগানিস্তানের কাছে চরম ভাবে পর্যুদস্ত হয় বাংলাদেশ। আর তারপর কোচের দায়িত্ব পান ইংলিশ স্টিভ রোডস। তার কোচিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজে ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতে আবার জয়ের পথ খুঁজে পেয়েছে বাংলাদেশ। দল সফল হয়েছে। তাই কথা ওঠেনি।
ওয়েষ্ট ইন্ডিজ সফরে কার্যত বাংলাদেশ খেলেছে ম্যানেজার ছাড়াই। হেড অফ মিডিয়া রাবিদ ইমাম মিডিয়া ম্যানেজারের পাশাপাশি ভারপ্রাপ্ত ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করেন। অবশেষে এশিয়া কাপে আবার খালেদ মাহমুদ সুজনকে ম্যানেজার হিসেবে ফিরিয়ে আনা।
সুজনের ভূমিকা কি থাকবে? তিনি কি শুধুই ম্যাানেজারের দায়িত্ব পালন করবেন, নাকি আগের মত লক্ষ্য-পরিকল্পনা ও কৌশল নির্ধারণে ভূমিকা রাখবেন?
আজ (শনিবার) দুপুরে শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে সাংবাদিকদের সাথে আলাপে সুজন নিজেই দিয়েছেন তার জবাব, ‘একই ভূমিকা থাকবে আমার। ম্যানেজার হিসেবে যেহেতু কাজ করতাম, ওটাই থাকবে। এছাড়া আর কিছু না। আমাদের পুরো ম্যানেজমেন্ট আছে। ব্যাটিং কোচ, ফিল্ডিং কোচ সব মিলিয়ে আট-নয় জন স্টাফ আছে। সবাই ঠিক মতো কাজ করলে ফলাফল আমাদের পক্ষেই আসবে।’
ওয়ানডেতে বাংলাদেশ ভাল খেলে। প্রস্তুতিও হয়েছে ভাল। সুজনের মূল্যায়ন, ‘দল তো ভাল। আর ওয়ানডে ফরম্যাটে আমরা সবসময় ভাল ক্রিকেট খেলি। অনুশীলনও ভালোভাবে হয়েছে। সব মিলিয়ে তৃপ্তি আছে। যদি কারো ইনজুরি না হয়, সব ঠিক থাকে তাহলে এবার ভাল সুযোগ আছে ইনশাআল্লাহ। ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেকে আসার পরে দলের আত্মবিশ্বাস অনেক বেশি ভাল। আমার মনে হয় সবমিলিয়ে আমরা ভাল ক্রিকেট খেলব।’
সাকিব ও তামিমের ইনজুরি নিয়ে তেমন কিছু জানেন না, এ অকপট স্বীকারোক্তি করে সুজন বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে আমি আসলে কিছুই জানি না। কেননা দলের সঙ্গে ছিলাম না। যত দূর জানি সাকিব ওখানে দলের সঙ্গে যোগ দিবে। তামিমের ইনজুরি গুরুতর কিছু না মনে হচ্ছে। আরও কয়েকদিন আছে। আশা করছি ওদের ম্যাচের আগে সুস্থ অবস্থায় পাবো।’
লক্ষ্য কি? জানতে চাওয়া হলে ম্যানেজার সুজনের আত্ববিশ্বাসী সংলাপ, ‘আমরা শিরোপা জয়ের স্বপ্ন দেখতেই পারি। এমন নয় যে বাংলাদেশ আগে ফাইনালে খেলেনি। যেহেতু আমরা ফাইনাল খেলেছি, তাই শিরোপা জয়ের স্বপ্ন দেখাই যায়। আফগানিস্তান বলেন বা শ্রীলংকা বলেন সবার সঙ্গেই চাপ থাকবে আমাদের। চাপ কাটিয়ে কিভাবে ভাল করা যায় এটাই দেখার।’
‘লক্ষ্য নিয়ে যাওয়া তো অবশ্যই ভাল। তাহলে সবাই বেশি মনোযোগী থাকব। ভারত-পাকিস্তানও আছে আসরে, এছাড়া কঠিন কন্ডিশনে খেলা; লড়াই সহজ হবে না। তারপরেও লক্ষ্য নিয়ে এগোতে হবে।’