‘সুস্থ বাংলাদেশের স্বপ্নে’-এই স্লোগান নিয়ে দৌড়ে দেশভ্রমণ করবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের ১৬তম ব্যাচের ছাত্র সামসুজ্জামান আরাফাত। তিনি দৌড়াবেন টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া পর্যন্ত।
তিনিই একমাত্র দৌড়বিদ যিনি প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের একপ্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত দৌড়ানোর পরিকল্পনা করেছেন বলে জানিয়েছেন আরাফাত। এই আয়োজনে পৃষ্ঠপোষকতা করছে এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড।
এই কর্মসূচির মাধ্যমে দৌড়ে ২৩টিরও বেশি ‘ম্যারাথন দূরত্ব’ অতিক্রম করবেন সামসুজ্জামান আরাফাত।
এর আগেও সামসুজ্জামান আরাফাত ২০১৫ ও ২০১৬ সালে ২ বার সাঁতরে বাংলা চ্যানেল পাড়ি দেন এবং ভারতের মেঘালয়ে ম্যারাথন দৌড় সম্পন্ন করেন।
দৌড়ের মাধ্যমে সববয়সীমানুষের সুস্বাস্থ্যকে মূল প্রতিপাদ্য হিসেবে তুলে ধরার প্রচেষ্টায় প্রায় ১০০০ কিলোমিটার পাড়ি দিবেন বলে জানিয়েছেন আরাফাত। তিনি প্রতিদিন প্রায় ৫০-৮০ কিলোমিটার পথ দৌড়াবেন।
আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি টেকনাফের দক্ষিণ পাড়া গ্রাম থেকে এই দৌড় কর্মসূচি শুরু হবে এবং শেষ হবে তেঁতুলিয়ার বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্টে।
আরাফাতের সাথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাউন্টিং ইনফরমেশন বিভাগের ইমতিয়াজ আলম, ২২তম ব্যাচের জুবায়ের বিন আখতার, ইংরেজি বিভাগের সাবেক ছাত্র ওয়াসিউর রহমান এবং চট্রগ্রাম থেকে প্রিতিশ বড়ুয়া ১০০ কিলোমিটার দৌড়াবেন।
এ উপলক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য প্রেস কক্ষে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে পতাকা হস্তান্তর করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-ইউল্যাবের সহযোগী অধ্যাপক নিয়াজ মোর্শেদ পাটোয়ারী, এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট ও চিফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার হারুনুর রশীদ।
এমন ব্যতিক্রমী উদ্যোগের কারণ কি, জানতে চাইলে সামসুজ্জামান আরাফাত দ্য রিপোর্ট টুয়েন্টিফোরকে বলেছেন, ‘বাইরের দেশগুলো কেন এত এগিয়ে? কারণ তাদের (নাগরিকদের) স্বাস্থ্যভালো। তারা সুস্থ। আর আমরা স্বাস্থ্যের দিক দিয়ে তাদের থেকে অনেক পিছিয়ে। শরীর সুস্থ থাকলে আমরা আরো ভালো ছাত্র পাবো, ভালো খেলোয়াড পাবো। তাই মানুষ যেন এই দিকটায় সচেতন হয়, সেজন্যই এমন কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করছি।’