পাকিস্তান-যুক্তরাষ্ট্র দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক পারস্পরিক স্বার্থে হতে হবে। শুধু মার্কিন স্বার্থে মাথা নত করবে না ইসলামাবাদ। বুধবার এক বৈঠকে সফররত মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওকে এ কথা বলেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
ভারত সফরের আগে একদিনের সফরে প্রতিনিধি দলসহ এদিন পাকিস্তান পৌঁছান পম্পেও। খবর জিও টিভি ও ডনের।
পাকিস্তানে নেমেই দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশির সঙ্গে বৈঠকে বসেন পম্পেও। দু’জনের বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে বলেও সাংবাদিকদের জানান তিনি।
পাক পররাষ্ট্র দফতর এক বিবৃতিতে জানায়, বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন ইস্যু ছাড়াও আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক নানা বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এরপর ইসলামাবাদে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে পম্পেওর সঙ্গে বৈঠক করেন নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। বৈঠকে শাহ মাহমুদ কুরেশি ও সেনাপ্রধান কামার জাভেদ বাজওয়া উপস্থিত ছিলেন।
পম্পেওর সঙ্গে ছিলেন জয়েন্ট অব স্টাফ চেয়ারম্যান জেনারেল জোসেফ ডানফোর্ড। বৈঠকে আফগান যুদ্ধ ও জঙ্গিবাদ ইস্যুতে আরও কঠোর হওয়ার ব্যাপারে জোর দেন পম্পেও। বিপরীতে পাকিস্তানের অবস্থান তুলে ধরেন পাক নেতারা।
বুধবার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে কুরেশি বলেন, মার্কিন প্রতিনিধিদের কাছে পাকিস্তানের অবস্থান তুলে ধরা হয়েছে। আমরা তাদের চাওয়াগুলো বোঝার চেষ্টা করেছি এবং আমাদের চাওয়া ও উদ্বেগগুলোও তাদের জানিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা তাদের বলেছি, দুই দেশের সম্পর্ক পারস্পরিক আস্থা ও সম্মানের ভিত্তিতেই হতে হবে। যতক্ষণ না আমাদের উদ্বেগগুলোকে গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে, ততক্ষণ অগ্রগতি সম্ভব না।’