দূতাবাস স্থানান্তরের তিনমাসের মাথায় প্যারাগুয়ের নতুন সরকার ঘোষণা দিয়েছে যে, জেরুসালেম থেকে তারা আবার দূতাবাস তেল আভিভে সরিয়ে নিতে যাচ্ছে।
দেশটির প্রেসিডেন্ট মারিও আব্দো বেনিতেজ বলছেন, তিনি মধ্যপ্রাচ্যে একটি স্থায়ী শান্তি অর্জন করতে চান।
তবে এর জবাবে ইসরায়েল বলছে, তারা প্যারাগুয়েতে থাকা ইসরায়েলি দূতাবাস বন্ধ করে দেবে।
আর ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা খুব তাড়াতাড়ি দক্ষিণ আমেরিকান এই দেশটিতে দূতাবাস খুলবে।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, প্যারাগুয়ের এই সিদ্ধান্ত দুই দেশের সম্পর্কের ওপর প্রভাব ফেলবে।
গত বছরের ডিসেম্বরে জেরুসালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসাবে স্বীকৃতি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস সরিয়ে নেয়ার ঘোষণা দেয়ার পরপরই প্যারাগুয়ের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট হোরাসিও কার্টেস তাদের দূতাবাস স্থানান্তরের ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু ওই সিদ্ধান্তের সঙ্গে তখনি দ্বিমত জানিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী আব্দো বেনিতেজ।
জেরুসালেমের মর্যাদা নিয়ে এতো বিতর্ক কেন?
কারণ ইসরায়েল-ফিলিস্তিনি সংঘাতের কেন্দ্রস্থলে রয়েছে এই শহরটি।
জেরুসালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসাবে যুক্তরাষ্ট্রের স্বীকৃতির নিন্দা করেছে ফিলিস্তিনিরা। তারা বলছে, এর ফলে যুক্তরাষ্ট্র তাদের মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা হারিয়েছে।
মার্কিন ওই ঘোষণাকে ‘অগ্রহণযোগ্য এবং অকার্যকর’ ঘোষণা করে বেশিরভাগ সদস্যের ভোটে একটি প্রস্তাব গ্রহণ করে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ। তারা সেটি বাতিলের দাবি জানায়।
জেরুসালেমকে চিরস্থায়ী এবং অবিভক্ত রাজধানী হিসাবে মনে করে ইসরায়েল। তবে পূর্ব জেরুসালেমকে নিজেদের ভবিষ্যত রাজধানী হিসাবে দাবি করে ফিলিস্তিন। ১৯৬৭ সালের যুদ্ধের সময় থেকে ওই এলাকা ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
তবে জেরুসালেমের ওপর ইসরায়েলের সার্বভৌমত্ব কখনোই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পায়নি।