যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্ট বলেছেন, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর লোকদের হত্যা ও নির্যাতনের অপরাধে যুক্ত ব্যক্তিদের অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। তিনি বলেন, গণহত্যার অভিযোগের সুরাহায় মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নেতাদের বিচারের মুখোমুখি করতে যুক্তরাজ্য উদ্যোগ নেবে।
পার্লামেন্টের নিয়মিত অধিবেশনে গতকাল মঙ্গলবার এমপিদের রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে অবহিত করতে গিয়ে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র ও কমনওয়েলথবিষয়ক মন্ত্রী জেরেমি হান্ট এসব কথা বলেন। হান্ট বলেন, রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাজ্যের ‘বিশেষ দায়িত্ব’ রয়েছে। চলতি মাসের শেষের দিকে তিনি বড় ধরনের কূটনৈতিক প্রচেষ্টা শুরু করবেন বলে জানান।
হান্ট বলেন, জাতিসংঘ যাতে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নেতাদের আন্তর্জাতিক আদালতে বিচারের জন্য সুপারিশ করে, সে বিষয়ে সমর্থন দিতে তিনি সদস্য দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের আহ্বান জানাবেন। তিনি জানান, জাতিসংঘের পরবর্তী অধিবেশনে তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক আয়োজন করবেন। তবে মিয়ানমারের অপরাধীদের বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক আদালতে তুলতে জাতিসংঘের পাঁচ স্থায়ী সদস্যের অনুমোদন লাগবে। সেই অনুমোদন পাওয়া যাবে কি না, তা এখনই পরিষ্কার নয়।
জাতিসংঘের স্থায়ী সদস্য চীনের সঙ্গে মিয়ানমারের ঘনিষ্ঠ বাণিজ্যিক ও কূটনৈতিক যোগাযোগ থাকার কারণে দেশটি জাতিসংঘের উদ্যোগে বাধা দিয়ে আসছে এবং ভবিষ্যৎ উদ্যোগেও বাধা দেবে বলে আশঙ্কা।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘জাতিগত নিধন বিশ্বের যেখানে যে প্রকারেরই সংঘটিত হোক না কেন, সেটি দায়মুক্তি পেতে পারে না। অপরাধীদের অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘এটি এমন একটি বিষয় যেখানে সভ্য মূল্যবোধে বিশ্বাসী সব দেশকে একত্র হওয়া উচিত এবং বিচার নিশ্চিতের জন্য উদ্যোগ নেওয়া উচিত।’