“ডিজিটাল”শব্দটি একটি বিদেশী শব্দ। যার আভিধানিক বাংলা অর্থ- অঙ্গুলিসংক্রান্ত, সংখ্যাগত ইত্যাদি। অথচ ডিজিটাল শব্দটি বর্তমান যুগে আরো ব্যাপক অর্থে ব্যবহৃত হচ্ছে। বর্তমান যুগকে ডিজিটাল যুগ বলা হচ্ছে। দেশকে বলা হচ্ছে- ডিজিটাল বাংলাদেশ। কোন কোন সম্ভাবনাকে বলা হচ্ছে- ডিজিটাল সম্ভাবনা। এমনকি রাস্তারধারে বিলবোর্ড, পোষ্টারকেও ডিজিটাল বিলবোর্ড-পোস্টার বলাহচ্ছে। আরো বলা হয়- শিক্ষাব্যবস্থা ডিজিটাল, ব্যাংকিং ডিজিটাল, কৃষিসেবা ডিজিটাল, যোগাযোগ ব্যবস্থা ডিজিটাল, ট্রাফিক সিস্টেম ডিজিটাল, স্ক্যানিংমেশিন এক্স-রে মেশিন ডিজিটাল সহ চিন্তা চেতনাও ডিজিটাল। বাস্তব, অবাস্তব, অর্ধবাস্তব সকল কিছুতেই ডিজিটাল শব্দটি সহজে যুক্তকরা যাচ্ছে। অশিক্ষিত-শিক্ষিত সকলেই এর মানেও ইতিবাচক কিছু একটা বুঝেনিচ্ছেন। কিন্তু “ডিজিটাল” শব্দটির সেই মানে তারা কি “সংখ্যাগত” বোঝেন নাকি “অঙ্গুলিসংক্রান্ত” বোঝেন? তবে অনেকেই হয়ত বলবেন যাকিছু কম্পিউটার সংক্রান্ত তাই ডিজিটাল। এই কথার সঙ্গে “সংখ্যাগত” আর “অঙ্গুলিসংক্রান্ত” শব্দদ্বয়ের মিল আছে বটে। কিন্তু ডিজিটাল শব্দটি যখন আরো ব্যাপকভাব বোঝাতে ব্যবহার করা হয় তখন মনেহয়- যা কিছু অত্যাধুনিক তাই ডিজিটাল। অতএব, বাংলাভাষার শব্দ ভান্ডারে বিদেশী শব্দ হিসেবে “ডিজিটাল” শব্দটি যুক্ত হলেও এর একটি সহজ ও স্বার্থক বাংলা অর্থ এবং সংজ্ঞা থাকা অপরিহার্য হয়ে পড়েছে বলেই প্রতীয়মান হচ্ছে। এই ফেব্রুয়ারিতে হয় বইমেলা। হয় বাংলানিয়ে অধিকতর গবেষণা। যদি এই বিষয়ে ইতোমধ্যে হয়ে থাকে তবে এই ভাষার মাসেই তা দেশীয় অভিধানে সংযুক্তির আবেদন জানাচ্ছি।।
সাজ্জাদ খোশনবীশ
১০ফেব্রুয়ারি,২০১৭ইং