চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যযুদ্ধ ধারণার চেয়ে বেশি দীর্ঘস্থায়ী হবে বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এটি আগামী বছরের দ্বিতীয়ার্ধ বা আরও বেশি সময় ধরে চলতে পারে।
অনলাইন পোর্টাল অ্যাক্সিওসডটকমের মতে, এর কারণ হচ্ছে কোনো পক্ষই ঘরে নিজেকে দুর্বল প্রতিপন্ন করতে চায় না এবং উভয়ই অর্থনৈতিক পরিকল্পনা গ্রহণ করতে তৈরি।
এক বছর বা আরও বেশি সময়ের অমীমাংসিত বাণিজ্যযুদ্ধে জয়ী পক্ষ পরিষ্কারভাবে বোঝা না গেলেও লোকসান কাদের হতে পারে, তার একটি সম্ভাব্য ছবি পাওয়া যায়।
যুক্তরাষ্ট্রে কৃষক, ইস্পাত ব্যবহারকারী এবং ভোক্তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের খুচরা ব্যবসায়ীরা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের আরেক দফা শুল্ক বৃদ্ধির ব্যাপারে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
চীনে সব ধরনের প্রস্তুতকারীরা দেখবেন, তাঁদের ব্যবসাগুলো ভিয়েতনাম ও মালয়েশিয়ার মতো প্রতিবেশীদের কাছে চলে যাচ্ছে।
এ ছাড়া উভয় পক্ষেরই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি আগামী বছর কিছুটা কম হবে এবং—স্টক ও পণ্য বাজারের মতিগতির ওপর নির্ভর করে—বিশ্বের কোনো কোনো এলাকায় আর্থিক মন্দা দেখা দিতে পারে।
গত সপ্তাহে দুই পক্ষই এ দুই দেশের মধ্যে ১০ হাজার কোটি ডলারের পণ্যে শুল্ক বৃদ্ধ করে। আগামী ৬ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্র ২০ হাজার কোটি ডলারের পণ্যে শুল্ক বসাতে পারে। তখন চীনও মার্কিন পণ্যে শুল্ক আরোপ করে এর পাল্টা দেবে।