পশ্চিমবঙ্গে দক্ষিণ কলকাতার তারাতলা-ডায়মন্ড হারবার সড়কের মাঝেরহাট উড়ালসেতুর একাংশ আজ বিকেলে আচমকা ভেঙে পড়েছে। এতে বহু মানুষের জীবনহানির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ পর্যন্ত একজনের মৃত্যুর কথা বলেছে রাজ্য সরকার। গুরুতর আহত হয়েছে ১৯ জন। তবে এ কথাও বলা হয়েছে, বেশ কিছু মানুষ সেতুর নিচে আটকে থাকতে পারে।
মাঝেরহাটের এই সেতুর নিচ নিয়ে চলে গেছে শিয়ালদহ বজবজ শাখার রেললাইন। দুর্ঘটনার পর বন্ধ হয়ে গেছে ট্রেন চলাচল। বন্ধ হয়ে গেছে তারাতলা-ডায়মন্ড হারবার সড়কে যান চলাচল।
আজ বিকেলে এই সেতুটি যখন আচমকা ভেঙে পড়ে, তখন ভাঙা অংশের ওপর ছিল ১টি বাস, ১টি লরি, ৫টি গাড়ি এবং কয়েকটি মোটরসাইকেল। প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার সময় সেতুর নিচে বহু মানুষ অবস্থান করছিলেন। ছিলেন অসংখ্য শ্রমিকও। এই শ্রমিকদের বাসস্থান ছিল এই সেতুর নিচে। সেতুর নিচে একটি খালও ছিল।
দুর্ঘটনার পর পুলিশ, দমকল বাহিনী, বিপর্যয় মোকাবিলা কমিটির সদস্যরা উদ্ধার কাজে অংশ নেন। অংশ নিয়েছে সেনাবাহিনী ও সিআইএসএফের জওয়ানরা। ক্রেন ও সরঞ্জাম দিয়ে শুরু হয়েছে উদ্ধারকাজ।
এই দুর্ঘটনার খবর শুনে ঘটনাস্থলে যান পশ্চিমবঙ্গের পৌরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারসহ দমকলমন্ত্রী ।
পুলিশ বলেছে, সেতুর নিচে বহু মানুষ আটকে থাকতে পারে। তবে ইতিমধ্যে আহত ১১ জনকে কলকাতার পিজি হাসপাতাল ও সিএমআরআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বিধ্বস্ত সেতুর ধ্বংসাবশেষ না সরানো পর্যন্ত জানা যাচ্ছে না কত মানুষ সেতুর নিচে চাপা পড়ে আছে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ দার্জিলিংয়ে রয়েছেন। সেখান থেকে এক বার্তায় তিনি জানিয়েছেন, দ্রুতগতিতে উদ্ধারকাজ চলছে। আহত লোকজনের চিকিৎসার দায়িত্ব নেবে রাজ্য সরকার। তিনিও দার্জিলিংয়ের সফর কাটছাঁট করে কলকাতায় ফিরছেন।