রিও ডি জেনেরিও’র এ জাদুঘরটিকে দেশটির সবচেয়ে প্রাচীন বিজ্ঞানভিত্তিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গণ্য করা হয়।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত দমকল কর্মীরা আপ্রাণ চেষ্টা করছেন ভবনের ভেতর দাউ দাউ করে জ্বলা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে।
এ জাদুঘরটিতে অন্তত দুই কোটি ধরনের আইটেম সংরক্ষিত আছে।
তবে এ আগুন থেকে ক্ষয়ক্ষতির পূর্ণাঙ্গ চিত্র কিংবা কেউ আহত হয়েছে কি-না তার খবর এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
জাদুঘরটি এখন যে ভবনে অবস্থিত সেখানেই এক সময় পর্তুগীজ রাজ পরিবার বসবার করতো।
সম্প্রতি এর দুশো বর্ষপূর্তি পালন করা হয়েছে বেশ সাড়ম্বরেই।
ব্রাজিলের টেলিভিশনে ভবনটিতে আগুন জ্বলার সচিত্র প্রতিবেদন প্রচার করা হয়েছে এবং বলা হচ্ছে সন্ধ্যায় জাদুঘরের কার্যক্রম বন্ধ হওয়ার পর আগুন লেগে পরে তা ছড়িয়ে পড়ে পুরো ভবনে।
ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট মিশেল তেমের এক টুইট বার্তায় বলেছেন, “এটি ব্রাজিলের সবার জন্য দু:খের দিন।”
আর জাদুঘরটির পরিচালক গ্লোবো টেলিভিশনকে বলেছেন, “এটি একটি সাংস্কৃতিক বিপর্যয়।”
জাদুঘরটির একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ভবনের ভেতরে কাঠের ফ্লোর রয়েছে এবং কাগজের মতো দ্রুত আগুনে পুড়ে যাওয়ার মতো অনেক কিছু রয়েছে সেখানে।
ব্রাজিলের ইতিহাস ঐতিহ্যের সাথে সম্পর্কিত বহু জিনিস সংরক্ষিত ছিলো এই জাদুঘরটিতে।
এছাড়া অন্য দেশের বিশেষ করে দক্ষিণ আমেরিকান প্রত্নতাত্ত্বিক ও মিসরীয় নানা নিদর্শন ছিলো সেখানে।
জানা গেছে, রাজকীয় জাদুঘর হিসেবে এটি স্থাপিত হয়েছিলো ১৮১৮ সালে।