আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশের এই ক্রান্তিকাল মোকাবেলা করা দরকার।
…………..আর-এম
বাংলাদেশে আমরা একটা সত্যিকারের ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছি। পুঁজি দ্রুত গড়ে উঠছে, আমরা দ্রুত মধ্য-আয়ের দেশ হচ্ছি। পুঁজি গড়ে ওঠার কাল হলো নৈরাজ্যের কাল। আর আমাদের পুঁজি তো লুটেরা পুঁজি। বন ধ্বংস করে, নদী দখল করে, ভূমিদস্যুতা করে,বাঁধে সিমেন্টের বস্তার বদলে কিছু না ফেলে, ভবনে ইস্পাতের বদলে বাঁশ ব্যবহার করে, ঘুষের টাকা বালিশে ভরে রেখে, কর ফাঁকি দিয়ে, শুল্ক ফাঁকি দিয়ে, ব্যাংকের হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করে, শেয়ার মার্কেটে কারসাজি করে, টাকা বাড়িয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে হাজার হাজার মানুষের কাছ থেকে টাকা নিয়ে পালিয়ে গিয়ে, ফেনসিডিল-ইয়াবার ব্যবসা করে আমাদের পুঁজি গড়ে উঠছে।এখানে নামি দামী আভিনেতা বিজ্ঞাপন দেন কুদরতি আংটির, নামি দামী খেলোয়ার টাকার লোভে আবাস্তাব বিজ্ঞাপন দেন।
নিশ্চয়ই সৎ ব্যবসায়ী, সৎ উদ্যোক্তা এবং দেশের কোটি পরিশ্রমী সৃষ্টিশীল মানুষেরও অবদান আছে, তবে কালোটাকা সব সময় সাদাটাকাকে অপসারিত করে—অর্থনীতির এটাই নিয়ম। এর ফলে এর বিষফোড়াগুলো সমাজের ত্বকেও ফুটে উঠতে শুরু করেছে।উত্তরার কিশোরদের ‘গ্যাং’ এবং দুই গ্যাংয়ের দ্বন্দ্বের ফলে এক কিশোরের মৃত্যু তার একটা সামান্য প্রমাণ। এ ধরনের গ্যাং ঢাকার অন্য অংশেও আছে, দেয়াললিখনের মাধ্যমে তারা তাদের উপস্থিতি জানানও দিয়েছে। এ ধরনের গ্যাং থেকে দুর্ধর্ষ অপরাধী চক্র,আন্ডারওয়ার্ল্ড যেন গড়ে না ওঠে, সেদিকে এখনই সতর্ক দৃষ্টি দেওয়া দরকার। ও অপরাদ চক্রের সাথে জড়িতোদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা দরকার। নৈরাজ্যময় নষ্ট পুঁজির ব্যাংক নামের ব্যক্তিদের আইনের কাটগড়ায় দার করানো দরকার।