একটি ফুটবল ম্যাচের ফাইনালই তো! কিন্তু ৯০ মিনিটের ব্যাপ্তি গড়াল কত দূর। হারলে সেনা, আর জিতলে গলায় উঠবে সোনা। এই সমীকরণ নিয়েই মাঠে নেমেছিলেন টটেনহামে খেলা দক্ষিণ কোরিয়ান ফরোয়ার্ড সন হিউং মিন। শেষ পর্যন্ত জাপানের বিপক্ষে তাঁর দল দক্ষিণ কোরিয়ার ২-১ গোলের জয়ে সনের গলায় সোনার মেডেল তো উঠলই, সঙ্গে রক্ষা পাওয়া গেল সৈনিক জীবন থেকে।
একটি সোনা আর কী এমন দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে! তবে এটির আলাদা গুরুত্ব ছিল সনের কাছে। তাই শুরুর থেকেই বোঝা যাচ্ছিল, সোনা জিততে কতটা মরিয়া সন। এই সোনা জেতায় টটেনহাম ফরোয়ার্ডকে আর দেশে বাধ্যতামূলক সেনা প্রশিক্ষণ নিতে হবে না। দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রত্যেক পুরুষকে ২৮ বছর বয়সের মধ্যে বাধ্যতামূলক দুই বছরের সেনা প্রশিক্ষণ নিতেই হয়। শুধু অলিম্পিকে পদকজয়ী এবং এশিয়াডে সোনাজয়ীরা মুক্তি পান এই প্রশিক্ষণ থেকে। ফলে সৈনিক জীবনে আর প্রবেশ করতে হচ্ছে না সনকে।
অথচ কোরিয়া এবার ফুটবলে সোনা না জিতলে সনের কপালে দুর্ভোগ ছিল। সেনা প্রশিক্ষণে না গিয়ে আর উপায় থাকত না। টটেনহাম ছেড়ে তাঁকে চলে আসতে হতো দেশে। সেটা থেকে কাল নিস্তার পেলেন কোরিয়ান ফুটবল তারকা। কাল দলের জয়ে রেখেছেন অবদান। কোরিয়ার দ্বিতীয় গোলটি তাঁর কর্নার থেকেই হেডে।