ক’দিন আগেই রাস্তায় চলাচল কারী গাড়ীর লাইসেন্স নিয়ে কি তুলকালাম। দেখা গেল অনেকেরই গাড়ীর কাগজ পত্র ঠিক নেই। এরপরও হুঁশ হয়নি অনেকের। গত পরশু জাতীয় ফুটবল দলকে বহন কারী বাসেরও কাগজ পত্র ঠিক ছিল না। ছিল না ড্রাইভারের লাইসেন্সও।
পুলিশের চেকিংয়ে ধরা পড়ে তা। এরপর সেই গাড়ী থেকে নেমে যায় জাতীয় ফুটবল দল। বাফুফে সূত্রে জানা গেছে, শ্রীলংকার বিপক্ষে ম্যাচ খেলে নীলফামারী থেকে বিমানে ঢাকায় ফেরে বাংলাদেশ দল। এরপর হযরত শাহজালাল আর্ন্তজাতিক বিমান বন্দর থেকে বেরিয়ে যে বাসে উঠে সেই বাসের কোনো কাগজ পত্র ছিল না। না ছিল বাসের লাইসেন্স , না ছিল ফিটনেস সার্টিফিকেট, না ছিল ড্রাইভারের লাইসেন্স।
বিমানবন্দরের সামনে পুলিশের চেকিংয়ে তা ধরা পড়ে। বিষযটি টের পান বাংলাদেশ দলের হেড কোচ জেমি ডে। পরে তিনি এমন অবৈধ গাড়ীতে ফুটবলাদের নিয়ে চড়তে অস্বীকৃতি জানান। দলবল নিয়ে নেমে পড়েন বাস থেকে। এরপর ট্যাক্সিতে চড়ে ফুটবল দল ফিরে আসে হোটেলে। বিষয়টি স্বীকার করেছেন দলের ম্যানেজার সত্যজিৎ দাস রূপুও।
তার মতে, বাসের মূল কাগজপত্রের ফটোকপি অবশ্য ছিল। কিন্তু কোচই দল নিয়ে নেমে যায় বাস থেকে। উল্লেখ্য সাংবাদিকদের নীলফামারী নিয়ে যাওয়া বাসেরও পর্যপ্ত কাগজপত্র ছিল না। ফেরার পথে ঢাকার গাবতলী বাস স্ট্যান্ডে পুলিশ বাসটি আটকায়। পরে দেন দরবারের পর অবশ্য মুক্তি বাসটির।