রির্পোটঃমোঃ শাহাজাদা হিরা.
সিনিয়ার স্টাফ রির্পোটার.
বকেয়া বেতন ভাতা ও প্রভিডেন্ট ফান্ড জমার দাবিতে তৃতীয় দিনের মত কর্মবিরতি এবং অবস্থান ধর্মঘট পালন করছে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। কর্মচারীদের আন্দোলনের মুখে অচল হয়ে পড়েছে সিটি কর্পোরেশনের কার্যক্রম।বুধবার সকাল নয়টা থেকে পাঁচ ঘন্টার এ কর্মবিরতিতে সমস্যার সমাধান না হলে পরবর্তীতে কঠোর কর্মসূচীর ঘোষণা দেয়া হবে বলে হুশিয়ারী দিয়েছেন কর্মচারীরা। আন্দোলনে নেতৃত্বে থাকা কনজারভেটিভ অফিসার দীপক লাল মৃধা বলেন, সিটি কর্পোরেশনের নিয়মিত ৫৪২ এবং অনিয়মিত ১৪ শ’ কর্মচারীরা গত পাঁচ মাস ধরে বেতন না পেয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে চরম মানবেতর জীবন যাপন করছেন। তিনি আরও বলেন, অনিয়মিত কর্মচারীদের সরকার নির্ধারিত সাড়ে চার শ’ টাকা বেতন দু’মাস দেয়ার পর ফের ইচ্ছা মাফিক দেড় শ’ টাকা করে দিয়ে তাও বন্ধ করা হয়েছে। এর নেপথ্যে মেয়রের নিজ লাভে টেন্ডার বিহীন উন্নয়ন কাজ করে অর্থ লুটপাটই দায়ী বলে তিনি উল্লেখ করেন। অপর দিকে আন্দোলনরত কয়েকজন কর্মচারী বলেন ২০১৬ জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রায় ২০কোটি রাজস্ব এসেছে সে টাকা নিজস্ব কিছু ঠিকাদাররে দিয়ে নিজে লাভবান হয়েছেন। অন্যদিকে আমরা যেমন বেতন পাওয়া থেকে বঞ্চিত তেমনি অনেক ঠিকাদাররা বিল পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়ে রয়েছে।মেয়র আমাদের বেতন দেয়না অথচ আমাদের আন্দোলন বানচাল করার জন্য কাউন্সিলরদেরকে বিপুল অংকের টাকা প্রদান করে। এ ব্যাপারে সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ওয়াহেদুজ্জামান বলেন, প্রয়োজনের তুলনায় তাদের কর্মচারীর সংখ্যা বেশী। আর কর আদায় ঠিকমত হচ্ছে না বলে কর্মচারীদের বেতনে বিলম্ব হচ্ছে।এছাড়া তিনি আরো বলেন তারা আমাদেরকে আগে কোন কিছুই না জানিয়ে হঠাৎ করে গত ১লা জানুয়ারী থেকে আন্দোলন শুরু করেছে। ওরা যেমন বেতন পাচ্ছেনা তেমনি আমারও বেতন বকেয়া রয়েছে।এখন দেখি আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের চেষ্ঠা করা হচ্ছে।