নির্বাচনী প্রচার শুরুর পর থেকেই ‘নয়া পাকিস্তান’ গড়ার কথা বলে আসছেন ইমরান খান। ক্ষমতায় আসার পর সরকারি ব্যয় কমানোর উদ্দেশ্যে ইমরান প্রধানমন্ত্রীর অফিসে ছাঁটকাট, সিভিল সার্ভিস এবং ফেডারেল অফিসে সংস্কার এবং বিমানবন্দরে ভিআইপি নিরাপত্তা নিষিদ্ধের ঘোষণা দেন। কিন্তু ইমরানের ব্যয় কমানোর ঘোষণার মধ্যে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী পরিবার নিয়ে উড়োজাহাজে ঘোরার ছবি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। আর ইমরান ও ফার্স্ট লেডির উড়োজাহাজে অফিস করার পর প্রশ্ন উঠছে ব্যয়সংকোচন নীতি নিয়ে।
‘উর্দু পয়েন্ট’ ও ‘ডন’-এর খবরে বলা হয়েছে, ইমরান খান সরকারি ব্যয় কমানোর জন্য একের পর এক কর্মসূচির ঘোষণা করছেন। তবে অন্যরা তাঁকে ঠিক তেমনভাবে সহায়তা করছেন না। কারণ এরই মধ্যে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ওসমান বাজদারের তাঁর পরিবার নিয়ে উড়োজাহাজে ঘোরার ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। বন্ধুর প্রয়াত বাবার স্মরণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে অফিশিয়াল হেলিকপ্টার ব্যবহার করেন তিনি। এ ছাড়া লাহোর থেকে ইসলামাবাদ সফরেও হেলিকপ্টার ব্যবহার করেন তিনি।
ইমরানের কৃচ্ছ্রসাধন কর্মসূচি আরও সামনে আসে যখন ইমরান খান ও ফার্স্ট লেডি বুশরা মানেকা তাঁদের ব্যক্তিগত বানিগালা হাউস থেকে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে যাতায়াতের জন্য অফিশিয়াল হেলিকপ্টার ব্যবহার করছেন। ইমরান-বুশরার হেলিকপ্টার চড়ার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে দেশটির তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী ভিআইপি সংস্কৃতি এবং নিরাপত্তা প্রটোকলের মধ্যে পার্থক্য তুলে ধরেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর ইমরান সাধারণ জীবনযাপনের যে ঘোষণা দিয়েছিলেন, তা নিয়ে সমালোচনা চলছে। এসব নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা সরগরম।
পাঞ্জাবের তথ্যমন্ত্রী ফাইজুল হাসানও বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর হেলিকপ্টার ব্যবহার কৃচ্ছ্রসাধন কর্মসূচির সঙ্গে সাংঘর্ষিক নয়। এটি মুখ্যমন্ত্রীর বিশেষ অধিকার।
ইমরানের হেলিকপ্টার ব্যবহার নিয়ে যাঁরা সমালোচনা করছেন, তাঁদের ধুয়ে দিয়েছেন পিটিআইর নেতা মোহাম্মদ আলী খান। তিনি এক টুইটে বলেন, ‘হেলিকপ্টারে তিন মিনিটের দূরত্বে যাওয়া নিয়ে যাঁরা সমালোচনা করছেন তাঁরা জেনে রাখুন, গাড়ি ব্যবহার করলে ৫ থেকে ৭টি গাড়ির প্রয়োজন হতো। আরও নিরাপত্তা দিতে হতো এবং সড়কে যানজটের সৃষ্টি হতো।