আলোকচিত্রী শহিদুল আলমকে মুক্তি দিতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ব্রিটিশ আইনপ্রণেতা টিউলিপ সিদ্দিক। মঙ্গলবার ব্রিটিশ পত্রিকা ‘দ্য টাইমস’–এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
‘দ্য টাইমস’–এর প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, লেবার পার্টির একজন আইনপ্রণেতা টিউলিপ সিদ্দিক। লেবার পার্টির সমর্থনে হাম্পস্টেড ও কিলবার্ন থেকে আইনপ্রণেতা নির্বাচিত হন তিনি। টিউলিপ বলেছেন, শহিদুল আলমকে সরকার কর্তৃক আটকের ঘটনাটি ‘অত্যন্ত পীড়াদায়ক এবং এই অবস্থার দ্রুত অবসান প্রয়োজন’।
টিউলিপ আরও বলেছেন, নিজেদের নাগরিকদের বিচারের ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে অবশ্যই আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখতে হবে। তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, আমাদের পররাষ্ট্র দপ্তর এই বার্তাটি তার মিত্র দেশটির কাছে পৌঁছে দেবে।’
এর আগে শহিদুল আলমের সমর্থনে নোয়াম চমস্কি, অরুন্ধতী রায়সহ খ্যাতিমান একাধিক লেখক-বুদ্ধিজীবী বিবৃতি দেন। পেন ইন্টারন্যাশনালসহ একাধিক আন্তর্জাতিক সংগঠনও তাঁর পক্ষে বিবৃতি দিয়েছে। সর্বশেষ বিবৃতি দিয়েছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন। তিনি বলেছেন, ফটোসাংবাদিকতাসহ মতপ্রকাশের স্বাধীনতা গণতন্ত্রের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শহিদুল আলম অনেক বছর ধরে অসাধারণ দক্ষতা ও সাহসিকতার সঙ্গে যে কাজ করে চলছেন, তা প্রশংসা করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। রূঢ় আচরণের বদলে তাঁর কাজের প্রশংসা করা উচিত।
নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে ‘উসকানিমূলক মিথ্যা’ প্রচারের অভিযোগে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের মামলায় ৬ আগস্ট শহিদুল আলমকে সাত দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। এর আগের দিন রাতে ধানমন্ডির বাসা থেকে তাঁকে তুলে নেয় ডিবি। সাত দিনের রিমান্ড শেষে গত ১২ আগস্ট শহিদুলকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন নিম্ন আদালত।