মঙ্গলবার , ২৮ আগস্ট ২০১৮ | ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. Featured
  2. অন্যান্য খেলার সংবাদ
  3. অন্যান্য ধর্ম
  4. অপরাদ
  5. অর্থনীতি
  6. অলটাইম নিউজ লেটার
  7. আইটি টেক
  8. আইন – আদালত
  9. আইন শৃংখলা বাহিনী
  10. আন্তর্জাতিক
  11. আবহাওয়া বার্তা
  12. ইসলাম
  13. উদ্যোগ এবং পরিবর্তন
  14. ওয়েবসাইট
  15. কবিতা

‘পাইলট মানসিক চাপে ছিলেন, ককপিটে বসে কাঁদছিলেন, সিগারেট খাচ্ছিলেন’

প্রতিবেদক
alltimeBDnews24
আগস্ট ২৮, ২০১৮ ১:২২ পূর্বাহ্ণ

কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে ইউএস-বাংলার বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় বাংলাদেশি পাইলটের আচরণকে দায়ী করা হয়েছে নেপালের এক সরকারি তদন্ত রিপোর্টের ফাঁস হওয়া খসড়া রিপোর্টে।

নেপালের প্রভাবশালী ইংরেজী দৈনিক কাঠমান্ডু পোস্ট এবং বার্তা সংস্থা এএএফপি এই খসড়া রিপোর্টের বিস্তারিত প্রকাশ করেছে।

রিপোর্টে দাবি করা হচ্ছে ইউএস-বাংলার ঐ ফ্লাইটের পাইলট সেদিন “বেশ আবেগতাড়িত ও মানসিক চাপের মধ্যে ছিলেন এবং কাঁদছিলেন।” তিনি সেদিন বিমানের ককপিটে দায়িত্বরত অবস্থায় ধূমপানও করছিলেন বলে এতে উল্লেখ করা হয়।

উল্লেখ্য ক্যাপ্টেন আবিদ সুলতান ছিলেন সেদিনের ঐ ফ্লাইটের পাইলটের দায়িত্বে। তাঁর সঙ্গে কো-পাইলট হিসেবে ছিলেন প্রিথুলা রশিদ। দুর্ঘটনায় তারা দুজনসহ বিমানের মোট ৫১ জন যাত্রী এবং ক্রু নিহত হন। ২০ জন প্রাণে বেঁচে গেলেও তাদের অনেকের আঘাত ছিল গুরুতর।

রিপোর্টে যা আছে:

পাইলট আবিদ সুলতান এবং তাঁর স্ত্রী আফসানা খানম।
পাইলট আবিদ সুলতান এবং তাঁর স্ত্রী আফসানা খানম। দুর্ঘটনায় স্বামীর মৃত্যুর মাত্র দু সপ্তাহ পর স্ত্রী আফসানা খানমও অসুস্থ হয়ে মারা যান।

কাঠমান্ডু পোস্ট এবং বার্তা সংস্থা এএফপি সরকারি তদন্ত রিপোর্টের যে খসড়া ফাঁস করেছে, তাতে সেদিনের ফ্লাইটের ককপিটে কি ঘটেছিল তার বিস্তারিত বর্ণনা দেয়া হয়েছে।

মূলত ফ্লাইটটির ককপিট ভয়েস রেকর্ডারে ধারণ করা কথোপকথন এবং ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে যেসব কথাবার্তা হয়েছে, তার ভিত্তিতেই তদন্তকারীরা পাইলট সম্পর্কে এসব কথা বলেছেন। রিপোর্টে বলা হয়:

  • পাইলট আবিদ সুলতান সেদিন খুবই আবেগতাড়িত এবং মারাত্মক মানসিক চাপের মধ্যে ছিলেন। তিনি সেদিন একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নেন, যার কারণে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।
  • বিমানটি ল্যান্ড করার মাত্র ছয় মিনিট আগে পাইলট আবিদ সুলতান জানিয়েছিলেন প্লেনটির ল্যান্ডিং গিয়ার নামানো অবস্থায় আছে, কিন্তু কো-পাইলট প্রিথুলা রশিদ যখন ফাইনাল ল্যান্ডিং চেকলিস্ট দেখছিলেন, তখন দেখতে পান ল্যান্ডিং গিয়ার আসলে নামানো হয়নি।
  • পাইলট আবিদ সুলতান ঢাকা-কাঠমান্ডু যাত্রাপথে বার বার ধূমপান করছিলেন। তিনি যে ধূমপায়ী ছিলেন সেটি তিনি এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষের কাছে গোপন করেছিলেন।
  • ককপিটের ভয়েস রেকর্ডারে কো-পাইলটের সঙ্গে তার প্রায় এক ঘন্টার কথোপকথন ধারণ করা আছে। এসব কথা শুনে বোঝা যায় তিনি সেদিন বেশ উত্তেজিত অবস্থায় ছিলেন এবং পরিস্থিতি সম্পর্কে তার সুস্পষ্ট ধারণার মারাত্মক অভাব ছিল।
  • ইউএস-বাংলার বিমানটি ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে অবতরণের মাত্র তিন মিনিট আগে পাইলট আবিদ সুলতান একটি সিগারেট ধরান। যদিও তখন বিমানটি কোন দিক থেকে রানওয়েতে অবতরণ করবে তা নিয়ে মারাত্মক বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছিল কন্ট্রোল টাওয়ারের সঙ্গে।
  • এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল সেদিন বিমানবন্দরের রানওয়ের দুই প্রান্ত নিয়ে বিভ্রান্তিতে পড়েছিল। তবে রিপোর্টে দাবি করা হচ্ছে দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে এর কোন প্রভাব ছিল না।

এএফপি দাবি করছে তারা নেপালের পর্যটন মন্ত্রণালয় থেকে এই রিপোর্টের সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েছে। তবে এই রিপোর্ট সম্পর্কে বিবিসির নেপালি সার্ভিসের অনুসন্ধানের জবাবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, রিপোর্টটি এখনো “অসম্পূর্ণ।”

(Visited ২৭ times, ১ visits today)

সর্বশেষ - অর্থনীতি