সাতটি মুসলিম দেশের নাগরিকের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের আপিল খারিজ করে দিয়েছে দেশটির একটি আদালত। এ সাতটি দেশের মুসিলম দেশের নাগরিকের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে সেই নিষেধাজ্ঞা আদেশ স্থগিত করেছিল যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালত। সেই স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে আদালতে আপিল করেছিল ট্রাম্প প্রশাসন। শেষ পর্যন্ত আদালতে সেই আপিলও খারিজ হয়ে গেল।
এর ফলে এ সংক্রান্ত সম্পূর্ণ শুনানি না হওয়া পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে আদালতের নির্দেশনা জারি থাকবে। সংবাদ বিবিসি বাংলার।
আপিল খারিজ করে দিয়ে আদালত হোয়াইট হাউজকে এবং বিভিন্ন প্রদেশের আইনজীবীদের আরও বেশি যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত সময় দিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রদেশের আইনজীবীরা বলছেন, সাতটি দেশের নাগরিকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি পুরোপুরি অসাংবিধানিক।
তবে জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট নিজেদের যুক্তি তুলে ধরে বলেছে, মি. ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ করার কোনো এখতিয়ার প্রদেশগুলোর নেই। অন্যদিকে, জাতীয় নিরাপত্তা ঝুঁকি সংক্রান্ত প্রেসিডেন্টের কোনো সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তোলারও কোনো অধিকার তাদের নেই।
ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে আদালতের ওই নির্দেশনার পর সাতটি মুসলিমপ্রধান দেশের অনেকেই যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের সুযোগ পেয়েছেন।
মুসলিমপ্রধান সাত দেশের নাগরিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আদালতের রায়ে সাময়িকভাবে স্থগিত হওয়ার পর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সতর্ক করে বলেছিলেন, ‘এ ধরনের আইনি রুলিংয়ের কারণে যুক্তরাষ্ট্র খারাপ ও বিপজ্জনক মানুষে ভরে যেতে পারে।’
এরপরেই দেশটির বিচার বিভাগ আনুষ্ঠানিকভাবে জানায় যে মিস্টার ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞা স্থগিতের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করা হয়েছে।
এর আগে মিস্টার ট্রাম্প টুইটারে জানিয়েছিলেন, তথাকথিত বিচারক আইনের প্রয়োগ স্থগিত করেছে। তিনি তখন এটাও জানিয়ে দেন যে আদালতের এই সিদ্ধান্ত বাতিল করা হবে। ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করা হবে।
তবে রবিবার ট্রাম্প প্রশাসনের আপিল খারিজ হয়ে যাওয়ায় আপাতত যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে বাধা নেই উল্লেখিত দেশগুলোর নাগরিকদের।