ফরচুন ম্যাগাজিনের স্বীকৃতি পেয়েছে টেলিনর গ্রুপ। বাংলাদেশে মোবাইল হেলথ সার্ভিস টনিকের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কাছে সুলভ স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়ায় এই স্বীকৃতি পেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
গ্রামীণফোন দেওয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সামাজিক উন্নয়নের মাধ্যমে ভালো ব্যবসা করছে এমন সব প্রতিষ্ঠান নিয়ে চতুর্থ ‘চেঞ্জ দ্য ওয়ার্ল্ড’ তালিকা তৈরি করেছে বিখ্যাত ব্যবসায়িক ম্যাগাজিন ফরচুন। এই তালিকায় টেলিনরকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এ বছরের ‘চেঞ্জ দ্য ওয়ার্ল্ড’ তালিকায় আছে ১৯টি দেশের প্রতিষ্ঠান। টেলিনর গ্রুপ তার ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা টনিকের কারণে এই তালিকায় এসেছে। টনিক, টেলিনরের বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোনের গ্রাহকদের জন্য স্বাস্থ্যসেবা সুলভ ও সহজলভ্য করতে কাজ করছে।
টেলিনর গ্রুপের অঙ্গসংগঠন গ্রামীণফোন এ দেশের অন্যতম টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠান। ১৯৯৭ সালে গ্রামীণফোন বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করে। গ্রামীণফোন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান।
ফরচুন ম্যাগাজিনের প্রধান সম্পাদক ক্লিফটন লিফ বলেছেন, ‘এই তালিকা প্রতিষ্ঠানগুলোর দানশীলতার ওপর ভিত্তি করে তৈরি হয়নি। বরং এটি আমাদের জানা একমাত্র টেকসই এবং সম্প্রসারণযোগ্য সমস্যা সমাধানের উপায়, যা ব্যবসার মাধ্যমে সামাজিক সমস্যা সমাধানের চেষ্টার ওপর নির্ভরশীল।’
ফরচুন বলছে, টেলিনর এখন বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা উন্নয়নে কাজ করছে। টনিক অ্যাপের মাধ্যমে টেলিনরের বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোনের ৫০ লাখ গ্রাহক টনিক সেবার মাধ্যমে বিনা মূল্যে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের পরামর্শ পেতে নিবন্ধন করেছেন। এ ছাড়াও টনিক স্বাস্থ্যসেবায় ছাড় এবং হাসপাতালে ভর্তি হলে আর্থিক সহায়তা দিয়ে থাকে।
টেলিনরের প্রেসিডেন্ট ও সিইও সিগভে ব্রেক্কে বলেন, টেলিনর যত বেশি সম্ভব মানুষের কাছে আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থার সুবিধা পৌঁছে দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। টেলিনর গ্রুপ কীভাবে তার বিশাল উপস্থিতি এবং সংযোগের ক্ষমতা সামাজিক উন্নয়নের জন্য ব্যবহার করছে, ফরচুনের করা তালিকায় অন্তর্ভুক্তি তারই স্বীকৃতি।
গ্রামীণফোনের সিইও মাইকেল ফোলি বলেন, বিভিন্ন স্থানে বিশেষ করে বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও পাকিস্তানের মতো দেশে, যেখানে টেলিনর ব্যবসা করে, সেখানে জীবন রক্ষাকারী প্রাথমিক সেবা ও স্বাস্থ্যবিমা সাধারণের নাগালের বাইরে। এই সমস্যার সমাধানে টনিক কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।