‘পাক্কা মুসলমান হুঁ’ বলতে বলতে ভারতের জাতীয় পতাকা ছিঁড়ছে এক কিশোর। পরে সেই যুবককেই আবার মারধর করে জনতা তাকে দিয়ে ‘ভারত মাতা কি জয়’ বলিয়ে নিচ্ছে। কিছুদিন আগে এই দু’টি ভিডিওই সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোড়ন ফেলে দিয়েছিল। কিন্তু জানেন কি, সেই কিশোর আসলে হিন্দু।
কী ভাবে প্রমাণ হলো, সেটা জানার আগে ঘটনাপ্রবাহের দিকে একবার চোখ ফেরানো যাক। ভারতের স্বাধীনতা দিবসের কয়েক দিন পরে প্রথম ভিডিওটি পোস্ট হয়। তাতে দেখা যায়, একটি ঘরের মধ্যে ওই কিশোর পতাকা ছিড়ছে। শেষে বলছে, ‘পাক্কা মুসলমান হুঁ’।
টুইটারে ওই ভিডিও পোস্ট হওয়ার পরই তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়। প্রায় ২০ হাজার রিটুইটে নানা রকম জাতি হিংসামূলক মন্তব্য করেন বহু নেটিজেন। তার দু’-তিন দিনের মধ্যেই সামনে আসে অন্য একটি ভিডিও। তাতে আবার ওই কিশোরকে মারধর করছেন কয়েকজন যুবক। তাকে দিয়ে ‘ভারত মাতা কি জয়’ এবং ‘পাক্কা হিন্দু হুঁ’ বলানো হচ্ছে।
কিন্তু এই কিশোরের আসল পরিচয় উঠে এসেছে পুলিশি তদন্তে। জানা যায় ঘটনাটি গুজরাতের সুরাত এলাকার। ভিডিও দু’টি নিয়ে শোরগোলের পরই পুলিশকে জানান এলাকার বাসিন্দারা। পুলিশ ওই কিশোর এবং আরো একজনকে গ্রেফতার করে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই জানা যায়, ওই কিশোর আসলে হিন্দু। ছোটখাট অনুষ্ঠানে কৌতুকাভিনয়ও করে। ওই ভিডিওটিও মজার ছলেই করা হয়েছিল বলে জানায় ধৃত দুই কিশোর। পুলিশ দু’জনকেই সাবধান করে ছেড়ে দেয়।
আরো জানা গেছে, প্রথম ভিডিয়োটি পোস্ট হয় রোহিত সারদানা নামে একটি সর্বভারতীয় চ্যানেলের এক সাংবাদিকের টুইটার হ্যান্ডলে। যদিও সেই অ্যাকাউন্ট তার নিজের নামে নয়, ‘অনুমিশ্রবিজেপি’ নামে। সেই অ্যাকাউন্টের ফলোয়ার রয়েছেন কয়েকজন বিজেপি নেতাও।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা