শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলায় অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক মাদরাসা ছাত্রীকে বাল্যবিয়ের হাত থেকে রক্ষা করলেন থানা পুলিশের ওসি। ওসি ও তার সঙ্গীয় ফোর্স দেখে থমকে গেল সবাই।
রোববার দুপুরে ঝিনাইগাতী থানার পেছনে প্রতাবনগর এলাকায় কনের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। ছাত্রীর সহপাঠীর কাছ থেকে সংবাদ পেয়ে ওই বাড়িতে হাজির হয়ে বিয়ের অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেন ওসি। একইসঙ্গে প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত ওই মেয়ের বিয়ে দেবেন না বলে কনের বাবা লিখিত অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর করেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঝিনাইগাতী থানার পেছনে প্রতাবনগর এলাকায় স্থানীয় মাদরাসায় অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীর বিয়ে ঠিক করেন বাবা। রোববার বিয়ের আয়োজন করা হয়। গাজীপুর থেকে বর এসে হাজির। কিন্তু কনের এক সহপাঠী বাল্যবিয়ের ঘটনাটি ঝিনাইগাতী থানা পুলিশের ওসিকে জানান।
সংবাদ পেয়ে ওসি বিপ্লব কুমার বিশ্বাস ফোর্স নিয়ে হাজির হন কনের বাড়িতে। তখনো বিয়ে পড়ানোর কাজি আসেননি। ওসি কনের বাবার কাছে মেয়ের জন্ম সনদ দেখতে চাইলে তিনি দেখাতে পারেননি। ছাত্রীর বয়স সর্বোচ্চ ১৫ বছর হবে।
এ সময় ওসি কনের বাবাকে অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়ের বিয়ে দেয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করলে জবাব দিতে না পেরে মাথা নিচু করে থাকেন। অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোরীকে বিয়ে করাবেন কেন- ওসির এমন প্রশ্নে চুপ হয়ে যান বরের বাবা। অবশেষে ভুল স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করেন তারা।
ঝিনাইগাতী থানা পুলিশের ওসি বিপ্লব কুমার বিশ্বাস বলেন, মেয়েটির বাবা দরিদ্র। সবচেয়ে অবাক লেগেছে, যখন বিয়েবাড়িতে হাজির হয়ে দেখেছি বাল্যবিয়ের ঘটনা জেনেও অভিভাবকরা বিয়ের দাওয়াত খাচ্ছেন। মেয়ে অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় এই বিয়ে ভেঙে দেয়া হয়েছে।