তারকা ফুটবলারের স্ত্রীর সঙ্গে যৌন মিলনের অভিযোগ উঠলো আর্জেন্টাইন ফুটবল কিংবদন্তী দিয়েগো ম্যারাডোনার বিরুদ্ধে। সেই ফুটবলার আবার অন্য কোনো দলের বা দেশের নন, নিজ দেশের ফুটবলারের স্ত্রীর সঙ্গেই নাকি যৌন জীবন উপভোগ করতেন ১৯৮৬ বিশ্বকাপজয়ী এই ফুটবলার।
মদ আর নারী—এই দুটি বিষয়ে খুবই পটু ম্যারাডোনা। এ কথা তামাম ফুটবল দুনিয়া জানে। মেয়ে ও স্ত্রীর বান্ধবী, দুই ফুটবলারের স্ত্রীর সঙ্গে প্রেম—এসব নিয়ে জলঘোলা কম করেননি আলবি সেলেস্তের সাবেক অধিনায়ক। কিন্তু এবার যা প্রকাশ পেলো, তা হার মানিয়েছে আগের ঘটনাগুলোকেও।
গত মাসে ৫৭ বছরের ম্যারাডোনা বাগদান সেরেছেন ২৯ বছর বয়সী প্রেমিকা রোসিও ওলিভার সঙ্গে। বাগদ্ত্ত জীবন বেশ ভালোভাবেই উদযাপন করছিলেন, কিন্তু এর মাঝেই প্রকাশ্যে এলো ফুটবলের রাজপুত্রের যৌন জীবনের কাহিনী।
সূত্রের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ‘দ্য ডেইলি স্টার’ জানায়, ইন্টার মিলানের তারকা ও আর্জেন্টাইন ফুটবলার মাউরো ইকার্দির বর্তমান স্ত্রী ওয়ান্ডা নারার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত ছিলেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা। আর এ তথ্য প্রকাশ করে ম্যারাডোনার গোপন প্রেম অভিসারে দাড়ি বসিয়েছেন আর্জেন্টাইন টিভি তারকা মির্থা লেগ্র্যান্ড।
নারা ও ম্যারাডোনার যৌন সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে মির্থা জানান,একবার মার-ডেল প্লাটার একটি হোটেলে উঠেছিলেন তিনি। অন্য এক রুমে ছিলেন ম্যারাডোনা ও নারা। রাতে দুজন এমন ‘উদ্দাম যৌনতায়’ লিপ্ত হতেন যে ঘুমাতেই পারতেন না মির্থা।
নিজের অভিজ্ঞতার ঝুলি থেকে মির্থা আরও জানান, “একবার নারা তাকে প্রশ্ন করেছিলেন, ‘তোমার অনুষ্ঠানে আমাকে আমন্ত্রণ করো না কেন?’ বিস্মিত মির্থা নিজেকে সামলে পরে উত্তর দেন, ‘তোমাকে? তুমি তো ম্যারাডোনার সঙ্গে হোটেলে উঠেছ। গতরাতে তুমি আর ম্যারাডোনা আমাকে ঘুমোতে দাওনি।’
এখানেই শেষ নয়। সেই রাতের ঘটনা উল্লেখ করে আর্জেন্টাইন এই টিভি তারকা আরও বলেছেন, ‘আমি জানতাম না কেন, কিন্তু ওরা দুজন তাদের রুমের আসবাব সরাত।’
ম্যারাডোনা-নারার এই যৌন সম্পর্ক অবশ্য প্রায় এক যুগ আগের। তবে মির্থার দেওয়া এসব বিস্ফোরক তথ্য সাড়া ফেলে দিয়েছে ফুটবল মহলে। চার বছর আগে ইকার্দিকে বিয়ে করার আগে সাবেক বার্সেলোনা তারকা ম্যাক্সি লোপেজের স্ত্রী ছিলেন নারা। লোপেজের ঘরে তিনটি এবং ইকার্দির ঘরে দুটি মেয়ে আছে তার।
তবে নারা যে এককালে ম্যারাডোনার ‘গোপন’ সঙ্গী ছিলেন, সেটি জানতেন না কেউই।