বরাবরের মতো এবারও ২২তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলায় সর্বোচ্চ ভ্যাটদাতা এবং প্রিমিয়ার প্যাভিলিয়ন ক্যাটাগরিতে প্রথম পুরস্কার পেয়েছে ওয়ালটন।
আয়োজক সংস্থা রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় শনিবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বাণিজ্য মেলা প্রাঙ্গণে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। ওয়ালটনের পক্ষে পুরস্কার দুটি গ্রহণ করেন কোম্পানিটির নির্বাহী পরিচালক ও বিপণন বিভাগের প্রধান সমন্বয়ক ইভা রেজওয়ানা। তার হাতে পুরস্কারের ক্রেস্ট ও সনদ তুলে দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।
মেলায় ওয়ালটন সর্বমোট ৩৬ লাখ ৩ হাজার ৮৯৯ টাকা ভ্যাট প্রদান করে। একই ক্যাটাগরিতে দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কার লাভ করে যথাক্রমে র্যাংগস ইলেকট্রনিক্স ও হাতিল ফার্নিচার। উল্লেখ্য, গত বছরের বাণিজ্য মেলায় ওয়ালটন ১৭ লাখ ৫৭ হাজার ৭৮৪ টাকা ভ্যাট প্রদান করে শ্রেষ্ঠ ভ্যাটদাতার স্বীকৃতি অর্জন করেছিল। এবার গতবারের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি ভ্যাট প্রদান করে ওয়ালটন।
সেরা প্যাভিলিয়ন ক্যাটাগরিতেও প্রথম পুরস্কার লাভ করে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। দ্বিতীয় পুরস্কার পেয়েছে তিনটি প্রতিষ্ঠান- এগুলো হচ্ছে আকতার ফার্নিচার, হাতিল ফার্নিচার ও আকিজ ফুড এন্ড বেভারেজ। একই ক্যাটাগরিতে নাদিয়া ফার্নিচার, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ও কোকোলা ফুড প্রডাক্টস পায় তৃতীয় পুরস্কার।
ওয়ালটনের নির্বাহী পরিচালক (পিআর এ্যান্ড মিডিয়া) হুমায়ুন কবীর বলেন, বাণিজ্য মেলায় ভ্যাটের পুরস্কার প্রচলনের পর থেকে প্রতি বছরই শ্রেষ্ঠত্বের সম্মান পাচ্ছে ওয়ালটন। এই পুরস্কার আমাদের দায়িত্ব আরো বাড়িয়ে দিলো।
বিপণন বিভাগের প্রধান সমন্বয়ক ইভা রিজওয়ানা বলেন, প্রতি বছরই সেরা প্রিমিয়ার প্যাভিলিয়নের পুরস্কার অর্জন করছি আমরা। এজন্য তিনি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, ইপিবি ও সর্বোপরি ক্রেতা-দর্শনার্থীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, ব্যবসায়িরাই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। উদ্ভাবনের দিক দিয়ে বাংলাদেশ অনেক বেশি এগিয়ে গেছে। বাণিজ্য মেলা সেই উদ্ভাবনী শক্তিকে উৎসাহ জোগাবে। ভবিষ্যতে এই মেলা আরও বড় পরিসরে হবে।
বাণিজ্য সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘মাসব্যাপী মেলা সফল করার জন্য ব্যবসায়ীরা সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছেন। মেলা আয়োজনে আমরা সফল বলেই মানুষ যানজট উপেক্ষা করে মেলায় এসেছে। তাই মেলাও প্রাণবন্ত হয়েছে।’
রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান বেগম মাফরুহা সুলতানা বলেন, এবার বিক্রি অর্ডার পাওয়া গেছে ২৪৩ দশমিক ৪৪ কোটি টাকা, পণ্য বিক্রি হয়েছে ১১৩ দশমিক ৫৩ কোটি টাকা। গতবারের চেয়ে এবার মেলায় ভালো বিক্রি হয়েছে।