বিপিএলে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের কারণে ৫ বছরের জন্য প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ হন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল। গত সোমবার তার শাস্তির মেয়াদ শেষ হয়। এরপর থেকেই গুঞ্জন শুরু হয় জাতীয় দলে ফিরছেন টেস্টের সর্বকনিষ্ঠ এই সেঞ্চুরিয়ান।
তবে এই মুহূর্তে জাতীয় দলে কোনো জায়গা নেই আশরাফুলের। তার কারণ তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কোনো লেভেলের সঙ্গে নেই। বিসিবির ফিটনেস, এইচপি, এ দল কোথায়ও নেই আশরাফুল।
আশরাফুল নিজেও মানছেন এই মুহূর্তে জাতীয় দলে কোনো জায়গা নেই। চাইলেই তিনি জাতীয় দলে সুযোগ পাবেন না। সোমবার যুগান্তরের সঙ্গে আলাপে ৩৪ বছর বয়সী আশরাফুল বলেন, ‘চাইলেই দলে ফেরা যাবে না। এখন যদি খেলা থাকত, তাহলে সুযোগ ছিল পারফর্ম করে দলে জায়গা করে নেয়ার। সামনে ক্রিকেট মৌসুমে বিশেষ কিছু করতে চাই। সময় নিয়ে পারফর্ম করেই দলে ফিরতে চাই। দলে ফিরলে লম্বা সময় টিকে থাকতে চাইব।’
আগামী বছরের শুরুর দিকে মাঠে গড়াবে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)। দেশের এই জমজমাট প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে নান্দনিক পারফরম্যান্স করে জাতীয় দলের আলোচনায় আসতে চান আশরাফুল। তিনি বলেন, ‘বিপিএল অনেক বড় মঞ্চ। সেখানে খেলা বড় ব্যাপার। বিপিএলে খেলার সুযোগ পেলে এবং পারফর্ম করলে জাতীয় দলে ফেরা সহজ হয়ে যায়।’
গত বছর ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে পাঁচটি সেঞ্চুরি করে রেকর্ড গড়েছিলেন আশরাফুল। বিপিএলের আগে শুরু হতে যাওয়া জাতীয় লিগ নিয়ে আশরাফুল বলেন, সামনে জাতীয় ক্রিকেট লিগ। ঘরোয়া ক্রিকেটের সব টুর্নামেন্টে ভালো করে খেলতে চাই। আশা করি সুযোগ পাব। যখন থেকে বুঝলাম ফিটনেসের উন্নতি ছাড়া ভালো করা সম্ভব নয়, তখন থেকে ফিটনেসের ওপর জোর দিয়েছি। এখন অনেক ভালো অবস্থায় আছি।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে বিপিএলে ম্যাচ-ফিক্সিংয়ের কথা শিকার করে বাংলাদেশের ক্রিকেটকে কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন এই ডান-হাতি ব্যাটসম্যান। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) স্পট-ফিক্সিংয়ের অপরাধে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিলেন মোহাম্মদ আশরাফুল।