ভারতের বন্যা উপদ্রুত দক্ষিণাঞ্চলীয় কেরালায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৫৭ জনে দাঁড়িয়েছে।
উপদ্রুত এলাকায় অত্যন্ত কঠিন পরিস্থিতিতে উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতা চালানো হচ্ছে। ৮৫০ একর এলাকার জমির কলা ও ধান নষ্ট হয়ে গেছে। খবর বার্তা সংস্থা সিনহুয়া’র।
প্রায় আড়াই লাখ মানুষ ১ হাজার ৫ শ’ অস্থায়ী ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে এই আশ্রয় শিবিরগুলো স্থাপন করা হয়েছে।
বন্যার পানিতে আটকা পড়া অনেককে তাদের বাড়িঘর থেকে উদ্ধার করে আশ্রয় শিবিরে নিয়ে আশা হয়েছে।
রাজ্যটিতে শতাব্দীর সবচেয়ে ভয়াবহ এই বন্যায় উপদ্রুত এলাকার মানুষকে উদ্ধারে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতা চলছে।
উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রমে ৬৭টি হেলিকপ্টার, ২৪টি বিমান, ৫৪৮টি মোটরবোট কাজ করছে। ভারতের সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী এবং ইন্ডিয়ান কোস্ট গার্ডের কয়েক হাজার সদস্য বন্যা উপদ্রুত এলাকাগুলোর উদ্ধার অভিযানে যোগ দিয়েছে।
উদ্ধার করার সময় অসুস্থ্য, বৃদ্ধ, নারী ও শিশুদেরকে প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে।
এদিকে শনিবার ভারতের আবহাওয়া বিভাগ শনিবার রাতে ক্ষতিগ্রস্ত ১৩টি জেলার মধ্যে ৮টির বেশি জেলা থেকে আবহওয়া সংক্রান্ত সতর্কতা সংকেত রেড এলার্ট তুলে নিয়েছে। আবহাওয়া পরিস্থিতির ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে।
হেলিকপ্টারে করে বন্যা উপদ্রুত এলাকাগুলোতে খাদ্য সামগ্রী, ওষুধ, কাপড় ইত্যাদি ফেলা হচ্ছে।
রোববারও বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
শনিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অবিলম্বে বন্যা উপদ্রুত দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কেরালাকে ৫শ’ কোটি ভারতীয় রুপি সহায়তার ঘোষণা দিয়েছেন।