অমর একুশে গ্রন্থমেলা ও আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলনের তৃতীয় দিনের (২১ মাঘ ১৪২৩/৩রা ফেব্রুয়ারি, শুক্রবার) আয়োজনে মেলায় নতুন বই এসেছে ১৩০টি। এদিন ১৪টি নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। তবে মেলায় ঘুরে ও প্রকাশকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মেলার তথ্যকেন্দ্রে জমা দেওয়া বইয়ের হিসেবে নতুন বই ১৩০টি হলেও শুক্রবার মেলায় আসা নতুন বইয়ের সংখ্যা আরো বেশি।
প্রতিদিনের মতো শুক্রবারও সকাল ১১ টায় শুরু হয় গ্রন্থমেলা। চলে রাত ৮টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত। সরকারী ছুটির দিন হওয়ায় প্রথম দুই দিনের তুলনায় এদিন লেখক-পাঠক ও দর্শনার্থীদের সমাগম ছিলো বেশি। সকাল ১১ টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত গ্রন্থমেলায় শিশুপ্রহর ঘোষণা করা হয়।
এদিকে আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলনের শুক্রবারের আয়োজন শুরু হয় সকাল ১০টায়, আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে। শুরুতেই ছিলো বাংলা কবিতা বিষয়ে আলোচনা। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কবি শ্যামলকান্তি দাশ এবং অধ্যাপক মাসুদুজ্জামান। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন কবি অসীম সাহা, ইকবাল হাসান, তুষার দাশ, ফরিদ কবির। এই অধিবেশন সভাপতিত্ব করেন কবি আসাদ চৌধুরী।
অমর একুশে গ্রন্থমেলার মূলমঞ্চে বিকেল ৩টায় বাংলা প্রবন্ধ-সাহিত্য বিষয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক শান্তনু কায়সার ও পশ্চিমবঙ্গের প্রাবন্ধিক সুমিতা চক্রবর্তী। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন পশ্চিমবঙ্গের গবেষক সুনন্দা সিকদার, কথাসাহিত্যিক পূরবী বসু, প্রাবন্ধিক মোরশেদ শফিউল হাসান, অধ্যাপক রফিকউল্লাহ খান, অধ্যাপক বেগম আকতার কামাল, পশ্চিমবঙ্গের চলচ্চিত্র গবেষক সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়, চীনের অনুবাদক ইয়াং উই মিং সর্না, পশ্চিমবঙ্গের গবেষক ইমানুল হক। এই অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক পবিত্র সরকার।
মূলমঞ্চে বিকেল ৫টায় মুক্তিযুদ্ধের সাহিত্য বিষয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রাবন্ধিক আবুল মোমেন। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন প্রাবন্ধিক মফিদুল হক, ইতিহাসবিদ মুনতাসীর মামুন, পশ্চিমবঙ্গের গবেষক জিয়াদ আলী, ড. আমিনুর রহমান সুলতান। এই অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক সৈয়দ আকরম হোসেন।
একই সময়ে বিকেল ৫টায় শহিদ মুনীর চৌধুরী সভাকক্ষ সাহিত্য ও ফোকলোরের পারস্পরিক মিথস্ক্রিয়া বিষয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ড. ফিরোজ মাহমুদ ও শাহিদা খাতুন। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন শফিকুর রহমান চৌধুরী, অধ্যাপক সৈয়দ জামিল আহমেদ, সাইমন জাকারিয়া ও সাকার মুস্তাফা। সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান।
মূলমঞ্চে সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনেটে অনুষ্ঠিত হয় ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী ও অন্যভাষার কবির স্বরচিত কবিতা এবং ছড়া পাঠ। এই অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন সুকুমার বড়ুয়া।