ঢাকায় নির্ধারিত সময়ের আগেই হাটে কোরবানির পশু তোলা হয়েছে। দুই সিটি কর্পোরেশনের ইজারার শর্তে বলা আছে, আগামী ১৯ আগস্টের আগে হাটে পশু বেচাকেনা করা যাবে না। হাট প্রস্তুতও করা যাবে না ১৮ আগস্টের আগে। কিন্তু এ শর্ত না মেনে আগে থেকেই হাট শুরু করেছেন ইজারাদাররা। অধিকাংশ হাটে ইতোমধ্যে কোরবানির পশু উঠেছে, চলছে দরদামও।
সিটি কর্পোরেশন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যে ইজারাদাররা শর্ত মানবেন না তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শুক্রবার হাজারীবাগ, শনির আখড়া, অফতাবনগরসহ অন্যান্য হাট ঘুরে দেখা গেছে, সব হাটেই পশু উঠেছে কদিন আগে থেকেই।
হাটের ইজারাদাররা বলছেন, সিটি কর্পোরেশন যে সময় দিয়েছে, তাতে হাট প্রস্তুত করা সম্ভব নয়। যে কারণে একটু আগেই প্রস্তুতি শুরু করতে হয়েছে। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পশু আগেভাগেই বিক্রেতারা আনেন। আমরা চেষ্টা করছি, জনসাধারণের যেন কোনো সমস্যা না হয়।
শনির আখড়ায় হাটের ইজারাদার মোস্তাক আহমেদ বলেন, আমাদের ভলান্টিয়াররা এখানে সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছেন। যানজট-মানুষের ভোগান্তি যেন না হয় সে বিষয়ে আমরা সজাগ আছি। আগে হাট বসার কারণে আশা করছি, মানুষের ভোগান্তির কিছু হবে না।
এ ব্যাপারে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, কোনো ইজারাদার যদি শর্ত ভঙ্গ করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অপরদিকে এ বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
দুই সিটির সূত্রে জানা গেছে, এবার কোরবানির পশুর চাহিদা মেটাতে ২৩টি স্থানে অস্থায়ী হাট বসানোর জন্য প্রথমে দরপত্র আহ্বান করে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন। তিন দফায় বিজ্ঞপ্তির পরও আট হাটের বিপরীতে কোনো দরপত্র জমা পড়েনি অথবা কাঙ্ক্ষিত দর পাওয়া যায়নি। এর মধ্যে দক্ষিণের ছয়টি আর উত্তরে দুটি হাট ছিল।
এখন ইজারা প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হওয়া এই হাটগুলোর স্পট টেন্ডারের মাধ্যমে টোল আদায়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে আরও দু-একটি হাট বাড়তে পারে। ইতোমধ্যে উত্তর সিটির দুটি হাট এখন লিজ দেয়া হয়েছে।