প্রখ্যাত ফটোসাংবাদিক শহীদুল আলমসহ কোটা সংস্কার ও নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত শিক্ষার্থীদের মুক্তির দাবিতে মানবন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন বিশিষ্ট নাগরিকরা। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গ্রেপ্তার হওয়া শিক্ষার্থীদের পরিবার ও মানবাধিকার কর্মীরা ‘ভুক্তভোগী পরিবার’ এর ব্যানারে এ কর্মসূচির আয়োজন করে। কর্মসূচি থেকে কোটা সংস্কার ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনকারীদের নি:শর্ত মুক্তি দাবি করা হয়। এসময় নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলন চলাকালীন সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িতদের শাস্তিও দাবি করা হয়।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খানের মা ঝিনাইদহের সালেহা বেগম। ছেলের মুক্তি চেয়ে তিনি বলেন, আমার বাবা কোনো অপরাধ করেনি। আমার বাবাকে ছেড়ে দিন।
বাবাকে ছাড়া আমি ঈদ করতে পারব না। বাবার সঙ্গে ঈদ করতে দিন। ঈদের আগে বাবাকে ছেড়ে দিন। কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা তরিকুল ইসলামের বাবা শফিকুল ইসলাম ঈদের আগেই তার সন্তানকে ফিরে পাওয়ার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানান।
মানববন্ধনে অংশ নিয়ে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, শিক্ষার্থীদের আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা যেভাবে তুলে তাদের হেফাজতে নিয়ে গেছে তা কোনোভাবেই একটা সভ্য সমাজের লক্ষণ না। প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, মুখ বন্ধ সমাজের মা হবেন না। সব জায়গায় ভূত দেখা ছাড়েন। ভুল পথে চালিত হবেন না। নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, যেহেতু এই সরকার জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে ক্ষমতায় আসেনি, তাই তারা যে কোনো আন্দোলনকে ভয় পায়।
মান্না আরও বলেন, নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলন ছিল নিরাপদ আন্দোলন। এটি সরকারবিরোধী বা সরকার পতনের কোনো আন্দোলন ছিল না। দেশের ১৬ কোটি মানুষই চায়- সড়ক নিরাপদ হোক। মন্ত্রী, এমপি সবাই বলছেন, আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের গ্রেপ্তার করা হবে। অথচ সাংবাদিকদের ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। মানবাধিকার কর্মী নূর খান লিটন বলেন, এই ধরণের গ্রেপ্তার ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। এ অবস্থা থেকে জাতিকে মুক্তি দেয়া প্রয়োজন।