বরগুনায় এক ইউপি চেয়ারম্যানকে পরকিয়া প্রেমে বাধা দেয়ায় আল আমীন নামের এক যুবকের চোখ তুলে ফেলা হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আল আমীন মারা যায়।
আল আমীন হত্যার অভিযোগে তার মা রাশেদা বেগম বাদী হয়ে চেয়ারম্যানকে আসামি করে বরগুনা থানায় বুধবার (১৫ আগস্ট) একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামী হল বরগুনা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গোলাম আহাদ সোহাগসহ ১২ জন।
মামলার বাদী জানান, ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম আহাদ সোহাগের সঙ্গে একই ইউনিয়নের এক যুবতীর (নারগিস) সঙ্গে দীর্ঘ দিন ধরে পরকিয়া প্রেম চলে আসছে। ওই ইউনিয়নের দক্ষিন হেউলিবুনিয়া গ্রামের ইউনুস মিয়া ও আমার ছেলে আল আমীন পরকিয়া প্রেমে বাধা দেয়। এতে ওই চেয়ারম্যান গোলাম আহাদ সোহাগ ও তার দলীয় লোকজন আল আমীনের প্রতি প্রতিশোধ পরায়ন হয়ে আল আমীনকে রবিবার (১২ আগস্ট) সন্ধ্যায় হেউলিবুনিয়া ব্রিজের দক্ষিন পাশে আসামি মিজানের রিক্সার গ্যারেজে ঢুকিয়ে প্রথমে তার দুচোখে মরিচের গুড়া দেয়া হয়।
পরে ১২ জন আসামীরা আল আমীনের দু’চোখ লোহার রড ও চাকু দিয়ে উপড়ে ফেলে। মুর্মূষু অবস্থায় আল আমীনকে বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। একদিন পর সোমবার (১৩ আগস্ট) দুপুর দুইটায় আল আমীন মারা যায়। মৃত আল আমীনের মা রাশেদা বেগম বলেন, `আমার ছেলেটা কাজ করে আমাদের ভরণ-পোষণ দিত। চেয়ারম্যান সোহাগের অবৈধ প্রেমে আল আমীন বাধা দিতে গিয়ে চেয়ারম্যান ও তার লোকজন নির্মম ভাবে তাকে চোখ তুলে হত্যা করে।’
এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান গোলাম আহাদ সোহাদ মুঠোফোনে বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমি কিছুই জানিনা। আমার প্রতিপক্ষরা নির্বাচনে হেরে গিয়ে ষড়যন্ত্র করে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেছে।’
বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস.এম মাসুদুজ জামান বলেন, ‘মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতার করার অভিযান চলছে।’