ওয়ানডেতে বাংলাদেশ গত কয়েক বছরে শক্ত প্রতিপক্ষ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে নাকাল হবার পরও তাই ওয়ানডে সিরিজ নিয়ে আশা ছিল। প্রত্যাশা পূরণও করেছে মাশরাফি বিন মর্তুজার দল।
কিন্তু টি-টোয়েন্টি সিরিজে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারানো? কদিন আগে বাংলাদেশ দলে প্রধান কোচ হিসেবে যোগ দেয়া স্টিভ রোডস ওতটা আশা করেননি। দেশে ফিরে টাইগার কোচ স্বীকার করলেন, টি-টোয়েন্টি সিরিজে সাকিবের দলের পারফরম্যান্স দেখে রীতিমত বিস্মিত তিনি।
ক্যারিবীয় সফরে টেস্ট সিরিজে ২-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পর দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। ওয়ানডে সিরিজটা তারা জিতে নেয় ২-১ ব্যবধানে। প্রথম ম্যাচ হারের পরও একই ব্যবধানে জেতে টি-টোয়েন্টি সিরিজ। আজ সকালে দুই ট্রফি (ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টি) নিয়ে ঢাকায় পা রেখেছে টাইগাররা।
সফরে দলের প্রাপ্তি নিয়ে কোচ রোডস বলেন, ‘টেস্ট সিরিজ কঠিন ছিল। আমরা বেশ নাকাল হয়েছি। তবে ছেলেরা যেভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে, আমি খুবই গর্বিত। ওয়ানডে সিরিজ জয়ের কথা ভেবেছিলাম। এটা করতে পারাটা দারুণ ছিল। তবে টি-টোয়েন্টির জয়ে কিছুটা বিস্মিত। দ্বিতীয় আর তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে আমরা আসলেই খুব ভালো খেলেছি। আমি খুব খুশি যে আমরা দুটি ট্রফি আনতে পেরেছি। এটা দুর্দান্ত।’
কোচের আলাদা করেই নজর কেড়েছে লিটন দাসের খেলা। শেষ টি-টোয়েন্টিতে ৩২ বলে ৬১ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলা এই ব্যাটসম্যানের প্রশংসা করে রোডস বলেন, ‘আমি লিটনকে নিয়ে খুব খুশি। ফাইনাল ম্যাচে সে দুর্দান্ত একটি ইনিংস খেলেছে।’
সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে মাত্র তিন রানে হেরে যায় বাংলাদেশ, যে ম্যাচটি একটা সময় জেতার মতো অবস্থানে ছিল মাশরাফির দল। কোচও মনে করছেন, ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করা সম্ভব ছিল, ‘জয়ের চেয়ে ভালো কিছু হতে পারে না। আমরা ওয়ানডেতে আগেও ভালো করেছি, তাই আশাবাদী ছিলাম। আমরা সুযোগ নষ্ট করতে চাইনি। নিশ্চিতভাবেই আমরা খুশি। তবে ওয়ানডে সিরিজটা ৩-০ ব্যবধানেও জিততে পারতাম।’
টেস্টে বাংলাদেশের ব্যাটিংটা একদমই মনের মতো হয়নি। রোডস মনে করছেন, এই জায়গাটায় উন্নতি করতে হবে। তবে দলের খেলোয়াড়দের সামর্থ্য নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই টাইগার কোচের। তিনি বলেন, ‘টেস্টে আমাদের ব্যাটিং দৈন্যতা দেখা গেছে। আমাদের এই জায়গাটা আরও শক্ত করতে হবে। টেস্ট ম্যাচের ব্যাটিংয়ে আরও উন্নতি করতে হবে। আমাদের দলে ভালোমানের খেলোয়াড় আছে। আমাদের শুধু বাইরে গেলে কন্ডিশন এবং প্রতিপক্ষের সঙ্গে আরেকটু দ্রুত মানিয়ে নিতে হবে।’
টেস্টে বাংলাদেশ দলের ভালো করার জন্য আরও কয়েকজন লম্বা এবং দ্রুতগতির পেসার দরকার বলেই মনে করছেন রোডস। দায়িত্ব নিয়েছেন বেশিদিন হয়নি, ধীরে ধীরে হয়তো এই শূন্যতাগুলো পূরণের কাজ শুরু করবেন তিনি।