সুপ্রিম কোর্টে প্রাঙ্গণ ও জাতীয় ঈদগাহ ময়দানের পাশ থেকে ‘গ্রিক দেবীর মূর্তি’ অপসারণের জন্য আবেদন করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল বরাবর বৃহস্পতিবার (০২ ফেব্রুয়ারি) এই আবেদন করেছেন আওয়ামী ওলামা লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী আলহাজ্ব মাওলানা মোহাম্মদ আবুল হাসান শেখ শরিয়তপুরী এবং ‘বিশ্ববার্তা ডটকম’ এর সম্পাদক মুহম্মদ আরিফুর রহমান।
আবেদনে উল্লেখ করা হয়, সুপ্রিম কোর্টে সম্প্রতি ন্যায় বিচারের প্রতীক হিসেবে গ্রিক দেবীর মূর্তি স্থাপনে বাংলাদেশের আপামর জনগণ বিস্মিত হয়েছেন। এই মূর্তি স্থাপন সংবিধানের ১২ ও ২৩ অনুচ্ছেদের পরিপন্থি।
এতে আরো উল্লেখ করা হয়, ১৯৪৮ ইং সালে এই কোর্ট স্থাপিত হয়। ন্যায় বিচারের প্রতীক হিসেবে ছিল ‘দাঁড়িপাল্লা’। বিগত ৬৮ বছর ধরে কেউ এর বিরুদ্ধে কোনো প্রতিবাদ করেনি। ৬৮ বছর পর হঠাৎ করে ন্যায়বিচারের প্রতীক হিসেবে দাঁড়িপাল্লার জায়গায় গ্রিক দেবির মূর্তি স্থাপন করে কী ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে চাচ্ছে, সেটা জনগণের কাছে বোধগম্য নয়। তাহলে কী বিগত ৬৮ বছর সুপ্রিম কোর্টে ন্যায়বিচার হয়নি?
এসব দিক বিবেচনায় আবেদনে মূর্তি অপসারণে আহ্বান জানিয়ে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের পাশে জাতীয় ঈদগাহ ময়দান। সালাতে সালাম ফেরানোর সময় চোখে পড়ে গ্রিক দেবির মূর্তি। একত্ববাদের সঙ্গে মূর্তি সাংঘর্ষিক। দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ নাগরিক মুসলমান। এটা কিছুতেই মানতে পারছেন না তারা। অতএব অনতিবিলম্বে সুপ্রিম কোর্ট থেকে মূর্তি অপসারণ করা হউক।
প্রসঙ্গত, সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১২ অনুযায়ী ধর্ম নিরপেক্ষতা নীতি বাস্তবায়নের জন্য (ক) সর্ব প্রকার সাম্প্রদায়িকতা,(খ) রাষ্ট্র কর্তৃক কোন ধর্মকে রাজনৈতিক মর্যাদা দান,(গ) রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ধর্মীয় অপব্যবহার,(ঘ) কোন বিশেষ ধর্ম পালনকারী ব্যক্তির প্রতি বৈষম্য বা তাহার উপর নিপীড়ন, বিলোপ করা হইবে।
অন্যদিকে, অনুচ্ছেদ ২৩ অনুযায়ী রাষ্ট্র জনগণের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও উত্তরাধিকার রক্ষণের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন এবং জাতীয় ভাষা, সাহিত্য ও শিল্পকলাসমূহের এমন পরিপোষণ ও উন্নয়নের ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন, যাহাতে সর্বস্তরের জনগণ জাতীয় সংস্কৃতির সমৃদ্ধিতে অবদান রাখিবার ও অংশগ্রহণ করিবার সুযোগ লাভ করিতে পারেন৷