জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে বাঁ হাতের আঙুলে চোট পেয়েছিলেন সাকিব। পুরনো ব্যাথাটা আবার বেড়েছে। তাই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ব্যথা প্রশমনকারী ইনজেকশন নিয়ে খেলতে হয়েছে বাংলাদেশের অধিনায়ককে। অবস্থা যা দাঁড়িয়েছে, তাতে বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী মনে করছেন, অস্ত্রোপচারের বিকল্প নেই সাকিবের। অস্ত্রোপচার হলে দেড় থেকে দুই মাসের জন্য মাঠের বাইরে থাকতে হবে তাকে।বাংলাদেশ দল যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফেরার পরই টিম ম্যানেজমেন্ট, মেডিক্যাল বিভাগ ও সাকিব মিলে সিদ্ধান্ত নেবেন কোন সময় অস্ত্রোপচার করানো হবে। সেপ্টেম্বরে (১৫-৩০) সংযুক্ত আরব আমিরাতে বসছে এশিয়া কাপের আসর। যেহেতু অস্ত্রোপচার করলে লম্বা সময় মাঠের বাইরে থাকতে হবে, তাই আসন্ন এশিয়া কাপে সাকিবকে না-ও পেতে পারে দল! তবে এটা সম্পূর্ণই নির্ভর করছে কবে নাগাদ অস্ত্রোপচার করানো হচ্ছে তার ওপর।
ব্যথার কারণে বোলিং করতে সমস্যা না হলেও ব্যাটিংয়ে পুরোপুরি সাপোর্ট দিতে পারছেন না সাকিব। দেবাশিষ চৌধুরী বলেন, ‘সাকিবের বাঁ হাতের লিটল ফিঙ্গারের জয়েন্ট ডিস-লোকেশন ছিল। ওকে অস্ট্রেলিয়াতে একজন হ্যান্ড সার্জনের কাছে পাঠানো হয়েছিল। হ্যান্ড সার্জনের কথা মতো শর্ট টার্ম ম্যানেজমেন্টের জন্য ইনজেকশন দেওয়া হয়েছে; কিন্তু লং টার্মে এটা খুব একটা কাজ করবে না। দল ফ্লোরিডা যাওয়ার পর সেখানকার ডাক্তার একটি ইনজেকশন দিয়েছেন। সেখানকার ডাক্তারও বলেছেন এ ইনজেকশন খুবই অল্প সময়ের জন্য কাজে লাগবে। এ জন্য টিম ফেরার পর সাকিব, ম্যানেজমেন্ট ও আমরা সবাই মিলে বসে একটা সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কারণ অপারেশন হলে প্রায় দেড়-দুই মাস রিহ্যাবের দরকার পড়বে।’