গতকাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হঠাৎ করেই সাকিব আল হাসানের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। সেই ভিডিওতে দেখা যায় ফ্লোরিডায় টিম হোটেলে প্রবেশের মুখে একজন দর্শকের সঙ্গে কথা বলতে ক্ষেপে অশ্লীল ভঙ্গি করেন তিনি। এরপরও সাকিব তেড়ে আসেন ওই দর্শকের দিকে। তখন সেখানে উপস্থিত এক নারী দর্শক ছাড়াও বেশ কয়েজন তাকে ধরে ফেলেন। এরপর তাকে বুঝিয়ে ফিরিয়ে দেয়া হয়। কেন এমন ভাবে ক্ষেপে গিয়েছিলেন বাংলাদেশের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক! ফেসবুকের ভিডিওতে দেখা যায় ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ নিয়ে প্রশ্ন করা হলেই ক্ষেপে যান সাকিব।
আবার এর অন্য কারণও শোনা যাচ্ছে। জানা যায় দর্শক ছবি তোলা ও ভিডিও করার জন্য জোর করছিলেন তাকে। সাকিব এতে সাড়া না দেয়াতে দর্শক বাজে মন্তব্য করেন তাতে ক্ষেপে যান বাংলাদেশ দলের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিানয়ক। তবে কোনটি সত্য তা এখনো জানা যায়নি। এ বিষয়ে বিসিবি’র ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান আকরাম খান বলেন, ‘সাকিব এখনো যুক্তরাষ্ট্রে আছে। আর আমি ফেসবুকে এখন পর্যন্ত ভিডিওটি দেখিও নি। যে কারণে সাকিবের সঙ্গে কথা না বলে ও সঠিক তথ্য না যেনে কোনো মন্তব্য করতে চাচ্ছি না। সাকিব দেশে ফিরলে তার সঙ্গে কথা বলেই আমি মন্তব্য করবো।’
সাকিব আল হাসানের দর্শকদের সঙ্গে এমন রৈরিতার ঘটনা নতুন নয়। ২০১০ সালে মিরপুর মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের সময় তিনি ব্যাট হাতে দর্শকের দিকে তেড়ে গিয়েছিলেন মারার জন্য। এরপর সিলেটে একটি ম্যাচ খেলতে গিয়েও সেখানে গ্যালারিতে থাকা দর্শকদের সঙ্গে তিনি মারামারিতে জাড়ান। তবে সবচেয় অযাচিত ঘটনা ঘটে ২০১৪-তে। ভারতের বিপক্ষে দ্বিপক্ষীয় সিরিজ চালাকালে তিনি ড্রেসিংরুম থেকে বের হয়ে এক দর্শককে ডেকে নিয়ে পিটিয়েছিলেন। এ ঘটনার পর তাকে বড় শাস্তির মুখোমুখি হতে হয়েছিল। শুধু তাই নয়, টিভি ক্যামেরার সামনে অশ্লীল ভঙ্গি করে তিনি নিষিদ্ধ হয়েছিলেন। দর্শকদের সঙ্গে সাকিবের এমন উগ্র আচরণ নতুন নয়। তাই ভিডিওটি প্রকাশের পর তাকে নিয়ে ফের শুরু হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জোর সমালোচনা। বিশেষ করে এ ঘটনাতে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের পর তাকে নিয়ে দর্শকদের উচ্ছ্বাসে প্রভাব পড়বে বলে মনে করেন নাম প্রকাশ না করার শর্তে জাতীয় দলের সাবেক এক ক্রিকেটার।