বারাক ওবামা প্রশাসন থাকাকালীন পারমাণবিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা নিয়ে ইরানের সঙ্গে যে চুক্তিটি হয়েছিলো তখন ধরে নেওয়া হয়েছিলো ইরানের সঙ্গে মার্কিন সম্পর্কে বোধহয় নতুন যুগের সূচনা হলো।
কিন্তু ইরানের সাম্প্রতিক ব্যালিস্টিক মিসাইল পরীক্ষাকে ঘিরে সম্পর্কে নতুন করে টানাপোড়েন দেখা দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র আনুষ্ঠানিকভাবে বিষয়টিতে ইরানকে সতর্ক করেছে।
বিবিসির খবরে বলা হয়, ডোনাল্ড ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা বিষয়টিকে একটি ভয়ানক কাজ বলে অভিহিত করেছেন।
জেনারেল ফ্লিন বলেছেন, সদ্য বিদায়ী ওবামা প্রশাসনের দুর্বলতার কারণেই ইরান এ ধরনের কাজে সাহস পেয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এর আগেও ইরান এবং ওবামা প্রশাসনের মাঝে হওয়া বেশকিছু চুক্তির সমালোচনা করেছে।
এর আগে বুধবার ইরান স্বীকার করে যে, গত সপ্তাহে তারা ব্যালিস্টিক মিসাইলের পরীক্ষা চালিয়েছে।
২০১৫ সালে বিশ্বের ছটি পরাশক্তির সাথে যে পারমাণবিক চুক্তিতে তেহরান সম্মত হয়, সে অনুযায়ী আরও অন্তত আট বছর তারা ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়নের ক্ষেত্রে জাতিসংঘের নিয়ম মেনে চলবে। যার বিনিময়ে তার ওপর নানা ধরনের অবরোধ শিথিল করা হবে।
জেনারেল ফ্লিন ইরানের এই সাম্প্রতিক পরীক্ষায় পারমাণবিক কোনো বিষয়ের কথা উল্লেখ করেননি। যুক্তরাষ্ট্র ইরানকে সতর্ক করলেও এর জন্যে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা সে বিষয়েও কিছু বলা হয়নি।
এর আগে বুধবার ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী হুসেইন ডেহগানে বলেন, তারা পূর্বঘোষিত পরিকল্পনা অনুযায়ী জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থেই প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম তৈরি করবে।
আর এক্ষেত্রে বাইরের কারোর হস্তক্ষেপ বা প্রভাব গ্রহণযোগ্য নয় বলে মন্তব্য করেন ডেহগানে।