পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি কার্যকর করার দাবিতে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে কলকাতায় বিক্ষোভ মিছিল বের করে বিজেপির যুব ও নারী মোর্চার কর্মী-সমর্থকেরা। দক্ষিণ কলকাতার দেশপ্রিয় পার্ক থেকে শুরু হয়ে এই মিছিল শেষ হয় হাজরা মোড়ে। সেখানে অনুষ্ঠিত হয় প্রতিবাদ সভা।
প্রতিবাদ সভায় দাবি ওঠে, পশ্চিমবঙ্গ থেকে অবিলম্বে অনুপ্রবেশকারী চিহ্নিত করার জন্য এই রাজ্যেও আসামের মতো এনআরসি কার্যকর করা হোক। পাশাপাশি এই রাজ্যে অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করে তাঁদের বের করে দেওয়া হোক। কারণ, এই রাজ্যে অনুপ্রবেশকারীদের থাকার কোনো অধিকার নেই। পাশাপাশি তারা এই রাজ্যে বসবাসকারী উদ্বাস্তুদের অবিলম্বে নাগরিকত্বসহ সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেওয়ারও দাবি জানায়। এই মিছিল ও প্রতিবাদ সভায় বিজেপির নেতারাও যোগ দেন। ছিলেন বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়সহ অন্যরা।
এদিকে আসামের নাগরিকপঞ্জীতে নাম না ওঠা মানুষের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করতে তৃণমূল কংগ্রেসের আট সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল আসামের বাঙালি অধ্যুষিত শিলচরে গেছে একটি নাগরিক কনভেনশনে যোগ দিতে। কিন্তু শিলচরে পৌঁছার পর এই প্রতিনিধিদলকে পুলিশ কার্যত আটকে রাখে শিলচর বিমানবন্দরেই। তাঁদের বিমানবন্দর থেকে বাইরে বের হতে দেয়নি পুলিশ।
অভিযোগ উঠেছে, আসাম পুলিশ তৃণমূলের এই প্রতিনিধিদলের সদস্যদের হেনস্তা করেছে। এই প্রতিনিধিদলে আছেন তৃণমূলের ছয় সাংসদ, এক বিধায়ক এবং এক মন্ত্রী। তাঁরা অভিযোগ করেন, তাঁদের বিমানবন্দরে আটকে হেনস্তা করে আসাম পুলিশ। বাধা দেয় বিমানবন্দর থেকে বের হতে। এ সময় সাংসদদের সঙ্গে আসামের এক ডিএম এবং প্রশাসন ও পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হলে আসাম পুলিশ একপর্যায়ে অতর্কিত হামলা চালায় এই প্রতিনিধিদলের ওপর। মারধর করারও অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ ওঠে মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়ারও। অগত্যা সাংসদেরা বিমানবন্দরেই অবস্থান ধর্মঘটে বসেন।
সর্বশেষ যে খবর পাওয়া গেছে, আসাম প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই প্রতিনিধিদলকে দুটি প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। প্রথমত, তাঁরা যদি হোটেলে থাকতে চান, তবে তাঁদের হোটেলে পৌঁছে দেওয়া হবে। তবে একটি শর্ত থাকবে, হোটেলে থেকে কারও সঙ্গে যোগাযোগ করা যাবে না। ভোরেই তাঁদের শিলচর ছাড়তে হবে। দ্বিতীয় প্রস্তাবে বলা হয়, এতে রাজি না হলে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হবে এবং আগামীকাল শুক্রবার তাঁদের আদালতে পেশ করা হবে।