অবশেষে সকল জল্পনা-কল্পনা ও হিসাব-নিকাষ পাল্টে দিয়ে জনগনের অকুণ্ঠ ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী রাজনীতির “যোগ্য উত্তরাধিকার” “যুবরত্ন” সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ প্রায় লাখো ভোটের ব্যবধানে প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদ অলঙ্কিত করেছেন। সাদিক আবদুল্লাহর জীবনের প্রথম নির্বাচনেই ঐতিহাসিক এ বিজয়ের ফলে তার বিজয়ের ব্যাপরে আজকের র্বাতায় “নগর পিতার আসনে বসছেন সাদিক” শিরোণামে সরেজমিন জরিপের বরাত দিয়ে প্রকাশিত আগাম সেই সংবাদটি সত্য হলো।
আগামী ৫ বছরের জন্য তিনিই বসলেন নগরবাসীর অবিভাভকের আসনে। আর তার এ বিজয়ের পথ কুসুমাস্তির্ণ করে দেয় মূলত দলীয় নেতাকর্মী,সুশীল সমাজ,সাংবাদিক,সংস্কৃতিকর্মী ও শ্রমজীবী সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার সাধারণ মানুষ। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট কালরাতে বাবা ও বুলেট বিদ্ধ মায়ের সঙ্গে অলৌকিক ভাবে বেঁচে যাওয়া ভাই সহ স্বজনের রক্তে ভেজা সেই সময়ের দেড় বছরের শিশু আজকের “রাজনীতির আইকন” সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ বিজয়ের যে “দ্বার প্রান্তে “ রয়েছিলেন এ বিষয়টি ভোটারদের মুখে মুখে আগেই ছড়িয়ে পড়েছিলো।
প্রচার-প্রচারণায় প্রার্থী ও তার কর্মী-সমর্থকরা ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে এটা বুঝাতে সম্মত হয়েছিলেন যে নৌকা জিতলে নগরীতে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়িত হবে।তাদের কাছ থেকে এ উন্নয়ন বার্তা পেয়ে নগরবাসী উন্নয়নের স্বার্থে শেষ পর্যন্ত দলমত নির্বিশেষে সবাই নৌকার পক্ষে ঝুঁকে পড়েন। একটি প্রভাবশালী গোয়েন্দা সংস্থা ও একটি বেসরকারী এনজিওর রির্পোটেও সাদিকের বিজয়ী হওয়ার আগাম বার্তা ছিলো। এবার সিটি নির্বাচনে ২ লক্ষ ৪২ হাজার ১৬৬ ভোট। নতুন ভোটার যোগ হয়েছে প্রায় ৩১ হাজার। নতুন এই তরুন ভোটারদের আশা আকাঙ্খার প্রতীক হয়ে ওঠেন সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ ।
অপরদিকে এর আগে বিএনপি প্রার্থীকে মেয়র নির্বাচিত করে গত ৫ বছর যে খেসারত নগরবাসী দিয়েছেন আগামীতে তারা আর সেই খোসারত দিতে চাননি। অতীতের ভুল সিদ্ধান্তের আর পুনরাবৃত্তি করতে না চাওয়ায় দলমত নির্বিশেষ সকল শ্রেণীর ভোটার নৌকার পক্ষে রায় দেয়। গত ৫ বছর বিএনপি‘র মেয়র আহসান হাবিব কামাল উন্নয়ন কর্মকান্ডে ব্যর্থ হওয়ায় শ্রীবৃদ্ধি হারিয়ে বরিশাল শহর আবারও পুরনো খানাখন্দের শহরের রূপে ফিরে যায়। ফলে নাগরিক সুবিধা বঞ্চিত নগরবাসীকে সীমাহীন ভোগান্তি পোহাতে হয়। বিএনপির এ মেয়রের সীমাহীন ব্যর্থতায় শ্রী হীন হয়ে পড়া বরিশাল শহরকে উন্নত ও আধুনিক শহরে রূপান্তর করতে নগরবাসী একজন যোগ্য নগর অভিভাবক দীর্ঘদিন ধরে খুঁেজ ফিরছিলেন ও অভাববোধ করছিলেন। অবশেষে ব্যালটের মাধ্যমে তারা তাদের যোগ্য অভিভাবক খুঁজে নিলেন। ফুফ প্রধানমন্ত্রী, বাবা মন্ত্রী ও নিজে মেয়র এ তিন রক্তের বন্ধনের যৌথ উদ্যোগ ও উন্নয়ন পরিকল্পনায় বরিশাল শহর শুধু “প্রাচ্যের ভেনিস” নয় “আধুনিক সিঙ্গাপুৃর” শহরে রূপ নেবে বিজয়ের এ মাহেন্দ্রক্ষনে এমনটিই আশা প্রকাশ করেছেন নগরবাসী।