পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে জয়ী ইমরান খানকে ফোন করে অভিনন্দন জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এ সময় দুই নেতা আঞ্চলিক শান্তি নিয়ে আলোচনা করেন। গতকাল সোমবার দুই নেতার মধ্য এ ফোনালাপ হয়।
নির্বাচনে ক্রিকেটার থেকে রাজনীতিক বনে যাওয়া ইমরান খানের পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) জয়ের পর দুই নেতার মধ্যে এটা প্রথম আলাপ। পারমাণবিক শক্তিধর চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সম্পর্কের কিছুটা অবনতি হয়েছে। মূলত কাশ্মীর ও সীমান্ত নিয়েই এই বিরোধ চরম আকার ধারণ করেছে।
স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ছোট ছোট দলগুলোর সমর্থন নিয়ে জোট সরকার গঠন করতে যাচ্ছেন ইমরান খান। তাঁর জয়ের পর প্রথম প্রতিক্রিয়ায় ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, পাকিস্তানের নতুন সরকার সন্ত্রাসমুক্ত দক্ষিণ এশিয়া গড়তে কাজ করবে বলে তাদের আশা। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ইমরানের সঙ্গে আলাপে প্রধানমন্ত্রী মোদি প্রতিবেশীদের সঙ্গে শান্তি ও উন্নয়নের বিষয়ে তাঁর চিন্তার কথা তুলে ধরেন। একই সঙ্গে পাকিস্তানে গণতন্ত্র আরও দৃঢ় হবে বলে ভারতের প্রধানমন্ত্রী প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
ইমরান খান জয়ী হওয়ার পর দেওয়া ভাষণে বলেছিলেন, ভারত এক কদম এগিয়ে গেলে তিনি দুই কদম এগিয়ে গিয়ে দীর্ঘদিনের সংকটপূর্ণ কাশ্মীর সমস্যার সমাধান করবেন। দুই নেতার আলাপের বিষয়ে ইমরানের গণমাধ্যম শাখা জানিয়েছে, দারিদ্র্য বিমোচনে মনোযোগ দেওয়া দুই দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে বলেছেন পাকিস্তানের হবু প্রধানমন্ত্রী। ইমরান আরও বলেছেন, আলোচনার ভিত্তিতে দুই দেশের সমস্যার সমাধান করতে হবে। কারণ, যুদ্ধ সমাধানের পরিবর্তে সংঘাত আরও বাড়িয়ে তোলে।
২৫ জুলাইয়ের নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ তুলেছে পাকিস্তানের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। ইউরোপীয় ইউনিয়নও (ইইউ) নির্বাচনে অনিয়ম নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তবে ইমরান খান জানিয়েছেন, পাকিস্তানের ইতিহাসে সুষ্ঠুতম এই নির্বাচন নিয়ে কোনো অভিযোগ থাকলে তা তদন্ত করে দেখা হবে। টিওআই ও রয়টার্স।