পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ দলের প্রধান ইমরান খান বলেছেন, আগামী ১১ আগস্ট তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন। সোমবার (৩০ জুলাই) রেডিও পাকিস্তানের বরাত দিয়ে দেশটির ইংরেজি দৈনিক ডন এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
ইসলামাবাদে নির্বাচিত খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের নব-নির্বাচিত সাংসদদের সঙ্গে আলোচনার সময় তিনি এ কথা বলেন। ইমরান খান বলেন, খুব শিগগিরই খাইবার পাখতুনখাওয়া রাজ্য সরকারের মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করা হবে। এ সময় সিন্ধ প্রদেশ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, প্রদেশজুড়ে যে দারিদ্র্যতা আছে সেটিতে তার সরকার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেবে।
দেশটির ২৫ জুলাইয়ের ১১তম সাধারণ নির্বাচনে ইমরানের দল পিটিআই জাতীয় সংসদে একক সর্বোচ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে। পাকিস্তান নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী, ইমরানের দল এককভাবে সরকার গঠন করতে পারছে না।
ফলাফলে ইমরানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) ১১৫টি আসনে জয়ী হয়েছে। এদিকে কারাবন্দী সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের দল পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) ৬৪টি এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর ছেলে বিলওয়াল ভুট্টোর দল পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) ৪৩টি আসনে জয়ী হয়েছে।
উল্লেখ্য, কোনো একক দলকে ক্ষমতায় যেতে হলে কমপেক্ষ ১৩৭ আসনে জয়ী হতে হবে। ইমরানের দল মোট ১১৫ আসনে জয়ী হয়েছে। সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় আসনের চেয়ে ২২টি আসন কম পেয়েছে তারা। ফলে সরকার গঠন করতে হলে দলটিকে দ্বারস্থ হতে হবে ছোট-খাট দলগুলোর।
এই জোট গঠনের জন্য দলটির নেতারা ইতোমধ্যে মাঠে নেমে পড়েছে। দলটির নেতারা মুত্তাহিদা কাওমি মুভমেন্ট-পাকিস্তান (এমকিউএম-পি), দ্য গ্রান্ড ডেমোক্রেটিক অ্যালিয়েন্স (জিডিএ), পাকিস্তান মুসলিম লীগ-কায়েদ (পিএমএল-কিউ), বেলুচিস্তান আওয়ামী পার্টি (বিএপি) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নেতাদের সঙ্গে জোট গঠনের ব্যাপারে আলোচনা শুরু করেছে।
এদিকে, ইমরানের তেহরিক-ই-ইনসাফকে পার্লামেন্টে চাপের মুখে ফেলার লক্ষ্যে দেশটির প্রধান দুটি দল পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ এবং পাকিস্তান পিপলস পার্টি পার্লামেন্টে একসঙ্গে বিরোধী দলের ভূমিকায় থাকতে ‘সমন্বিত যৌথ কৌশল’ গঠনে ঐক্যমতে পৌঁছেছে।
সূত্র : ডন।