ঘৃণ্য বা জঘন্য অপরাধ বললেও হয়তো কম বলা হবে। হরিয়ানার মেওয়াটে এমন কাণ্ড ঘটল যা শোনার পর আপনার রক্ত ফুটতে শুরু করতে পারে। আটজন মিলে এক গর্ভবতী ছাগলকে ধর্ষণ করল। পাশবিক অত্যাচারের জেরে সেই গর্ভবতী ছাগল শেষ পর্যন্ত মারা যায়। এমন জঘন্য কাজ করা আটজন অপরাধীকে শেষমেশ গ্রামবাসীরা আটক করে গণধোলাই দেয়। মারের মুখে অপরাধের কথা স্বীকার করে তারা।
গত বেশ কয়েকদিন ধরেই সেই গর্ভবতী ছাগলকে উত্যক্ত করত ওই আটজন। ছাগলের মালিক বহুবার তাদের নিষেধ করা সত্ত্বেও তারা কথা শোনেনি। দিন দিন সেই ছাগলকে বিরক্ত করার মাত্রা ছাড়াতে থাকে। ছাগলের মালিক আসলুপ খান এমন কিছু একটা কাণ্ড ঘটার আঁচ পেয়েছিলেন আগে থেকেই। কিন্তু শেষমেশ নিজের পোষা নিরিহ এই প্রাণীকে আট পাষণ্ডের হাত থেকে রক্ষা করতে পারলেন না।
গ্রামবাসীদের একজনের বয়ান অনুযায়ী, আসলুপ খানের বাড়ির দালান থেকে ওই ছাগলকে চুরি করে নিয়ে যায় আটজন। রাতের অন্ধকারে ছাগলটিকে একটি পরিত্যক্ত জায়গায় নিয়ে গিয়ে আটজন মিলে নির্মমভাবে ধর্ষণ করে। তারপর পাঁচজন ঘটনাস্থল থেকে চলে গেলেও বাকি তিনজন পরিস্থিতি স্বাভাবিক দেখানোর জন্য বাড়ি ফিরে আসে। ইতোমধ্যে আসলুপ তাঁর ছাগল না পেয়ে খুজতে বের হয়। গর্ভবতী ছাগলটি যন্ত্রণায় কাতরাতে কাতরাতে চিত্কার করতে থাকে। আসলুপ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখে ছাগলটি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছে।
স্থানীয় নাগিনা পুলিশ চৌকির এসআই রাজবীর সিং বলছিলেন, আসলুপ খান আমাদের কাছে এসে ওই আটজনের নামে অভিযোগ দায়ের করেছে। সাভাকর, হারুন, জাফর ও তার বাকি পাঁচ সঙ্গীর নামে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। মৃত ছাগলটির মেডিক্যাল করা হবে।
এদিকে, ছাগলটির মালিক আসলুপ খান বলছিলেন, ওরা কয়েকদিন ধরেই আমার গর্ভবতী ছাগলটিকে বিরক্ত করত। আমি নিষেধ করায় প্রথমে ওরা চলে যায়। কিন্তু কিছুক্ষণ পর আবার ওরা ফিরে আসে। আমি তখন কাছাকাছি ছিলাম না। সেই সুযোগে ওরা আমার ছাগল চুরি করে। রাতের অন্ধকারে ওকে নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে অত্যাচার করে। পরে ওদের গ্রামবাসীরা হাতেনাতে ধরে ফেলে।
অপরাধীদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৭ ও ৪২৯ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। তা ছাড়া অবলা পশুর উপর নারকীয় নির্যাতনের জন্যও অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ইতোমধ্যে অবশ্য গ্রামের পঞ্চায়েতে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শেষমেশ পুলিশি হস্তক্ষেপে তা আর হয়নি।