বৃহস্পতিবার , ২৬ জুলাই ২০১৮ | ৭ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. Featured
  2. অন্যান্য খেলার সংবাদ
  3. অন্যান্য ধর্ম
  4. অপরাদ
  5. অর্থনীতি
  6. অলটাইম নিউজ লেটার
  7. আইটি টেক
  8. আইন – আদালত
  9. আইন শৃংখলা বাহিনী
  10. আন্তর্জাতিক
  11. আবহাওয়া বার্তা
  12. ইসলাম
  13. উদ্যোগ এবং পরিবর্তন
  14. ওয়েবসাইট
  15. কবিতা

ইসির প্রতি আস্থা হারাচ্ছে ভোটাররা : সুজন

প্রতিবেদক
alltimeBDnews24
জুলাই ২৬, ২০১৮ ১২:৫২ পূর্বাহ্ণ

তিন সিটি নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড দেখা যাচ্ছে না। আচরণবিধি ভঙ্গের প্রবণতা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে যাওয়ায় নির্বাচন কমিশনের (ইসি) প্রতি ভোটারদের আস্থা নষ্ট হচ্ছে। নির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশনকে সরকারের সাথে বোঝাপড়া করা উচিত। যদি সরকারের পক্ষ থেকে ইতিবাচক সাড়া না পাওয়া যায়, তবে প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনের দায় কে নেবে ? সেজন্য আগেই নির্বাচন কমিশনারকে নির্বাচন আয়োজনে অপারগতা প্রকাশ করা উচিত।

বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘অবাধ নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই’ শীর্ষক রাজশাহী, সিলেট ও বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতাকারী প্রার্থীদের তথ্য উপস্থাপন বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) এর পক্ষ থেকে একথা জানান।

সংগঠনটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, একজন মেয়র ও কয়েকজন সংসদ সদস্য আচরণবিধি লঙ্ঘন করে সরকার দলীয় প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন। শুধু তাই নয় আচরণবিধি লঙ্ঘন করে প্রচারণায় চালিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ, সিভিল সার্জন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্ট্রারসহ অসংখ্যা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ও নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন। আচরণবিধি ভঙ্গের বিষয়ে ইসি থেকে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। এতে করে ইসির প্রতি সাধারণ ভোটারদের আস্থা নষ্ট হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সুজনের সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকার। এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন সুজন সভাপতি এম হাফিজ উদ্দিন খান এবং সুজনের নির্বাহী সদস্য ও স্থানীয় সরকার বিষেশজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদ।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা ও রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মাধ্যমে ইসির প্রতি জনগণের যে আস্থা গড়ে উঠেছিল, তা কমিশন ধরে রাখতে পারেনি। আগামী কয়েকমাস পর জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এই নির্বাচনের আগে সিলেট, বরিশাল ও রাজশাহী সিটি নির্বাচনের দিকে সারাদেশের মানুষের নজর থাকবে। এই তিনি সিটি নির্বাচন জাতীয় নির্বাচনের বার্তা দেবে। ফলে তিন সিটি নির্বাচন যদি গাজীপুর ও খুলনা সিটির মতো প্রশ্নবিদ্ধ হয়, তাহলে তা নেতিবাচক বার্তা দেবে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, তিনি সিটি নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে করতে নির্বাচন সংক্রান্ত সব কিছু ইসির নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। এ ব্যাপারে সরকারের সহযোগিতা না পাওয়া গেলে ইসির পক্ষে সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব না। তাই বিষয়টি নিয়ে সরকারের সঙ্গে ইসির বোঝাপড়া করা উচিত। সরকারের কাছ থেকে ইসি ইতিবাচক সাড়া না পেলে প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনের দায় না নিয়ে আগেই নির্বাচন আয়োজনে অপারগতা জানানো উচিত।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা সত্ত্বেও গ্রেফতার ও হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। প্রথম দিন থেকেই মামলা শুরু হয়েছে রাজশাহীতে; এখন সিলেটেও মামলা, গ্রেফতার ও হয়রানি শুরু হয়েছে। বরিশালে নাশকতার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে গোয়েন্দা বাহিনী। এইসব ঘটনাগুলো একদিকে যেমন ভোটারদের উদ্বেগ বাড়িয়ে দিচ্ছে, পাশাপাশি ভোটাররা নানা ধরনের সন্দেহের দোলাচলেও রয়েছেন।

সুজন সভাপতি এম হাফিজ উদ্দিন খান বলেন, তিন সিটি নির্বাচনে ইসির আচরণে হতাশার অনেক কারণ রয়েছে। কারও বিরুদ্ধে এক বছর আগে হয়তো মামলা ছিল, কিন্তু এতদিন সে প্রকাশ্য থাকলেও ধরেনি। কিন্তু নির্বাচন সামনে রেখে তাদের ধরপাকড় করা হচ্ছে। এগুলো উদ্দেশ্যমূলক। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তিন সিটিতে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই। সরকারীর কর্মকর্তারা নিয়ম বর্হিভূতভাবে প্রচরাণায় অংশ নিলেও ইসির পক্ষ থেকে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।

ড. তোফায়েল আহমেদ বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলো কিভাবে হচ্ছে সবাই দেখতে ও বুঝতে পারছেন। নতুন নতুন মডেলে নির্বাচন হচ্ছে। একসময় বলা হত মাগুরা মডেল; এখন কোন মডেলে নির্বাচন হচ্ছে তা গবেষণার বিষয়। কিভাবে নির্বাচনের মডেল হচ্ছে তাও বলা যাচ্ছে না। তবে এতটুকু বলা যায়, নির্বাচন নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। নির্বাচন বড় ধরনের সহিংসতা না হলেও নির্বাচন সুষ্ঠু হচ্ছে না কেন- তা ব্যাখা করাও কঠিন। কখনও রাতে ভোট কারচুপি হচ্ছে, কখনও দিনে হচ্ছে, আবার ভোটার আসার আগেই ব্যালট শেষ হয়ে যাচ্ছে। এগুলো ইঙ্গিত করে নির্বাচন কিভাবে হচ্ছে।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, আবার দেখা যাচ্ছে নির্বাচনে কোনো প্রার্থী ২ লাখ ভোট পেয়েছেন; অথচ তিনি কোনো এজেন্ট দিতে পারেননি। যে প্রার্থী ২ লাখ ভোট পেয়েছেন, তিনি ৪শ এজেন্ট দিতে পারেননি, এটা বিশ্বাসযোগ্য নয়। আবার কোনো প্রার্থী ১ লাখ ৭ হাজার ভোট পেয়েছেন, কিন্তু তিনিও একশ জন এজেন্ট দিতে পারেননি। এটা কোন মডেল নির্বাচন? এটা কি ভয়ের মডেল, না নতুন মডেল- তার কোনো ব্যাখা নেই। এটা কোনো ভয়-ভীতির কারণে হচ্ছে, নাকি মানুষ ভোটের প্রতি উদাসীন হয়ে পড়ছে, নাকি একটি বিশেষ দল আগ্রাসী হয়ে পড়ছে যেখানে অন্য কোনো দল যেতে পারছে না?

(Visited ৩ times, ১ visits today)

সর্বশেষ - অর্থনীতি