গ্রিসে দাবানালের শিকার হয়ে প্রাণ গেছে ৫০ জনের। দেশটির সরকার আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে আকাশ ও স্থলপথে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর কাছে সাহায্য চেয়েছে বলে বিবিসির খবরে বলা হয়। এরই মধ্যে রাজধানীর এথেন্সের কাছাকাছি অ্যাটিকা অঞ্চলে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।
শত শত ফায়ার ফাইটার আগুন নেভাতে কাজ করে যাচ্ছেন। তাঁরা এ পরিস্থিতিকে ‘অত্যন্ত কঠিন’ বলে মন্তব্য করেছেন।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, একটি নৌকায় আগুন ধরে যাওয়ার পর ১০ জন পর্যটক সেখান থেকে পালিয়ে যান। তাঁদের খোঁজে উদ্ধার অভিযান চলছে।
প্রাকৃতিক এ দুর্যোগের কারণে প্রধানমন্ত্রী আলেক্সিস সিপ্রাস তাঁর বসনিয়া সফর কাটছাঁট করে সংক্ষিপ্ত করেছেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ‘মানুষের দ্বারা যা সম্ভব তা করা হবে’। সব ধরনের জরুরি সেবাদান প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের মোতায়েন করা হয়েছে।
নিহত ব্যক্তিদের বেশির ভাগ সমুদ্রতীরের এথেন্সের ৪০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে মাতি রিসোর্টে আটকা পড়েছিলেন। তাঁরা ঘরে বা গাড়িতে আটকা ছিলেন। ১৬ শিশুসহ ১০৪ জনের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। এঁদের মধ্যে ১১ জনের অবস্থা গুরুতর।
রয়টার্স জানায়, মাতি রিসোর্টটি রাফিনা অঞ্চলে অবস্থিত। জায়গাটি স্থানীয় পর্যটকদের জন্য বিশেষ করে অবসরপ্রাপ্ত লোকজন ও শিশুদের ছুটিকালীন ক্যাম্পের জন্য বিখ্যাত।
দেশটির জরুরি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান ইকাভের কর্মী মিলতিয়াডিস ভাইরোনাস জানিয়েছেন, ২৫ জনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। চারজন গুরুতর আহত।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে ক্ষতিগ্রস্ত ভবন ও আকাশে কমলা রঙের ছাই দেখা গেছে। লোকজন গাড়িতে করে ঘরবাড়ি ছাড়ছেন।
গতকাল সোমবার সকালে এথেন্সের কাছে উপকূলীয় এলাকার লোকজনকে তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে যেতে বলা হয়।
সুইডেনে বেশ কয়েকটি দাবানলের কারণে এখানকার তাপমাত্রাও এতটা বেড়ে গেছে। ইতালি, জার্মানি, পোল্যান্ড ও ফ্রান্স তাদের সহায়তায় অতিরিক্ত উড়োজাহাজ, যানবাহন ও ফায়ার ফাইটার পাঠিয়েছে।
আগুনের কারণে অন্যতম প্রধান সড়কপথ এথেন্স-কোরিন্থ বন্ধ করে দিতে হয়েছে। বিমানের ফ্লাইটও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ট্রেন চলাচলও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এদিকে পরিস্থিতি মোকাবিলায় সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
২০০৭ সালের আগস্টে পেলোপোনেস উপদ্বীপে ভয়াবহ আগুনে অনেকে মারা যায়।