এক নির্বাহী আদেশে এবার মুসলিম দেশগুলোর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির করতে যাচ্ছেন ট্রাম্প। সিরিয়াসহ মধ্য প্রাচ্য ও আফ্রিকার বেশ কয়েকটি দেশ রয়েছে এই তালিকায়। খবর রয়টার্সের।
নির্বাচনী প্রচারণায় বরাবরই মুসলিমবিদ্বেষী মনোভাব প্রকাশ করেছেন ট্রাম্প। শুধু তাই নয়, যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিমদের প্রবেশ নিষেধ করা হবে বলেও ঘোষণা দিয়েছিলেন এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
ট্রাম্প নিজের টুইটারে একটি ‘বড় অর্জন’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। যদিও বলা হচ্ছে, এই আদেশ সাময়িক সময়ের জন্য।
ইতিমধ্যেই বেশ কিছু নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন ট্রাম্প। আরও কিছু নির্বাহী আদেশেও স্বাক্ষর করার কথা রয়েছে তার। এর মধ্যে মুসলিম দেশগুলোর যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা-সংক্রান্ত একটি আদেশও রয়েছে।
মুসলমি দেশগুলো থেকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করা শরণার্থী এবং অভিবাসীদের সংখ্যা সীমিত করা হবে। ফলে ইরাক, ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান, সিরিয়া এবং ইয়েমেনের শরণার্থী এবং অভিবাসীরা যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা পাওয়ার সুযোগ হারাতে পারেন। তাদের ভিসার ওপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করবেন ট্রাম্প।
বুধবার এই নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করবেন ট্রাম্প। নির্বাচনী প্রচারণায় ট্রাম্প প্রতিজ্ঞা করেছিলেন তিনি দেশের সুরক্ষার জন্য মুসলিমদের প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করবেন। সে সময় প্যারিস হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সিরিয়ার ১০ হাজার শরণার্থীকে আশ্রয় দেওয়ায় ওবামার সমালোচনা করেন তিনি।
ট্রাম্প জানান, ‘আগামীকাল (বুধবার) যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য একটি বড় পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে। অন্যান্য বিষয়ের মতোই এখানেও নিরাপত্তা দেয়াল গড়া হবে।’
শপথ গ্রহণের পরপরই ওবামাকেয়ার এবং টিপিপি চুক্তি বাতিল এবং একসঙ্গে ৮০ জন রাষ্ট্রদূতকে বরখাস্ত করেছেন নতুন এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট।